পুরনো বাড়ি সারাইয়ে বাধা, অভিযোগ

কলকাতা পুরসভার ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের ওই ঘটনায় স্থানীয় কাউন্সিলর তথা ৬ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান সঞ্চিতা মণ্ডলের স্বামী দেবু দত্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৮ ০৩:৩৩
Share:

এই বাড়ির মেরামতির কাজেই বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার, বৌবাজারে। নিজস্ব চিত্র

পুরনো বাড়ি ফেলে না রেখে সংস্কার করতে বলছে পুরসভা। অথচ সেই কাজ করতে গিয়েই বাধা পেয়েছেন বলে রবিবার দাবি করলেন বৌবাজারের এক গৃহকর্তা।

Advertisement

কলকাতা পুরসভার ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের ওই ঘটনায় স্থানীয় কাউন্সিলর তথা ৬ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান সঞ্চিতা মণ্ডলের স্বামী দেবু দত্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। গৃহকর্তা জন্মেজয় বসুরায়ের দাবি, পুরসভার অনুমতি নিয়ে বাড়ি মেরামতি করতে গেলে তাঁকে আড়াই লক্ষ টাকা ‘ফি’ দিতে হবে বলে দাবি করেছেন দেবু। বিষয়টি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন জন্মেজয়। নির্দেশ পেয়ে নড়ে বসেছে পুলিশও। শনিবারই কলকাতা পুলিশের কর্তারা ওই গৃহকর্তার সঙ্গে কথা বলেছেন। সোমবার ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা।

যদিও অভিযুক্ত দেবু বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছেন, ‘‘বেআইনি ভাবে বাড়ি মেরামতি হচ্ছে বলে অভিযোগ পেয়েছিলাম। তা দেখতেই গিয়েছিলাম। কারও থেকে কোনও টাকা চাইনি।’’

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, শনিবার সন্ধ্যায় মুচিপাড়া থানায় দেবুর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন জন্মেজয়। রবিবার তিনি জানালেন, ২০১১ সালে গোবিন্দ সরকার লেনের একটি তিনতলা বাড়ি কেনেন তিনি। সম্প্রতি সেই বাড়িটির খুবই খারাপ অবস্থা। জন্মেজয় এবং তাঁর ভাই জ্যোতির্ময় বসুরায় বাড়িটি সংস্কারের পরিকল্পনা করেন। তাঁদের দাবি, সেই মতো পুরসভার থেকে অনুমতিও নেন তাঁরা। গত ৫ জানুয়ারি বাড়ি সংস্কারের কাজ শুরু হয়। কিন্তু, ২৫ ফেব্রুয়ারি ওই বাড়িতে গিয়ে কাজ বন্ধ করিয়ে দেন দেবু। জন্মেজয় বলেন, ‘‘উনি (‌দেবু) দু’-তিনজন লোক নিয়ে এসে বলেন, কাজ করা যাবে না। কাজ করতে গেলে আড়াই লাখ টাকা তাঁকে ফি দিতে হবে। বলছিলেন, ‘পুরসভাকে ফি দিয়েছো, আমাদের দাওনি।’ টাকা না দিলে কাজ হবে না।’’

২৮ ফেব্রুয়ারি বিষয়টি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেন জন্মেজয়েরা। তার পরে পুলিশ চিঠি দিয়ে ডেকে পাঠায় জন্মেজয়দের। জ্যোতির্ময় বললেন, ‘‘শনিবারই আমরা গিয়েছিলাম। পুলিশ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে।’’

বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে পুর প্রতিনিধি সঞ্চিতা বলেন, ‘‘এ নিয়ে আমার স্বামীর সঙ্গে কথা বলাই ভাল হবে।’’ দেবু বলেন, ‘‘জন্মেজয়েরা বাড়ি মেরামতি করতে গিয়ে এমন ভাবে বারান্দা বানিয়েছেন, যাতে পাশের বাড়ির লোকজন আলো পাচ্ছেন না। তাঁরা আমাদের এবং পুরসভায় চিঠি দিয়েছেন। তা নিয়েই কথা বলতে গিয়েছিলাম। কোনও টাকা চাইনি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন