TMC

বাড়িতে হামলার ঘটনায় প্রকাশ্যে দুই নেতার ‘কোন্দল’

এলাকার বাসিন্দা দীপু দাসের বাড়িতে জনা পাঁচেক স্থানীয় যুবক চড়াও হন। দীপুর মা নমিতা দাস পুলিশকে লিখিত অভিযোগে জানান, স্বরূপ বিশ্বাসের নেতৃত্বে স্থানীয় যুবক বাপি হালদার, শিবু হালদার, তাপস হালদার ও বেচা অধিকারী তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়েছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২০ ০২:৫৯
Share:

প্রতীকী চিত্র।

টালিগঞ্জ রোডের একটি বাড়িতে চড়াও হয়ে এক বৃদ্ধা ও তাঁর বৌমাকে মারধরের ঘটনায় প্রকাশ্যে চলে এল দুই নেতার দ্বন্দ্ব। মঙ্গলবার রাতের ওই ঘটনায় স্থানীয় ৮১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর জুঁই বিশ্বাসের স্বামী স্বরূপ বিশ্বাস-সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে চারু মার্কেট থানায় লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। তবে বুধবার রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়েরও।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাত ৮টা নাগাদ টালিগঞ্জ রোডের ঝালদার মাঠ।

Advertisement

এলাকার বাসিন্দা দীপু দাসের বাড়িতে জনা পাঁচেক স্থানীয় যুবক চড়াও হন। দীপুর মা নমিতা দাস পুলিশকে লিখিত অভিযোগে জানান, স্বরূপ বিশ্বাসের নেতৃত্বে স্থানীয় যুবক বাপি হালদার, শিবু হালদার, তাপস হালদার ও বেচা অধিকারী তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়েছিলেন। নমিতাদেবী ফোনে বলেন, ‘‘ওরা বাড়িতে ঢুকে আমার ছেলের খোঁজ করে। ছেলে বাড়ি নেই শুনে আমাকে ও বৌমাকে লাঠি, রড দিয়ে মারধর করে। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করা হয়। ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করে পালিয়ে যায় ওরা।’’ খবর পেয়ে ফিরে এসে দীপু ওই দু’জনকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এই ঘটনার সূত্রে দীপুর অভিযোগ, ‘‘আমি এখন স্বরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে থাকি না। এলাকার বিধায়ক ও মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকি। সেই কারণে ওরা আমাকে দীর্ঘ দিন ধরে হুমকি দিচ্ছে। মঙ্গলবার রাতে আমাকে না পেয়ে আমার স্ত্রী ও মাকে মারধর করে চলে যায়।’’ স্বরূপ বিশ্বাস অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘দীপু দাসের বাড়িতে সন্ধ্যার পরে মদের আসর বসে। এ নিয়ে আপত্তি জানিয়ে স্থানীয় কয়েক জন যুবকই ওই ঠেক ভাঙতে গিয়েছিলেন। আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ভুল খবর রটানো হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে দলের ভিতরের গোলমালের কোনও সম্পর্ক নেই।’’ এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দীপুর মা ও স্ত্রীকে অন্যায় ভাবে মারধর করা হয়েছে। কেউ আমার সঙ্গে থাকলেই তাঁকে হেনস্থা ও মারধর করা হচ্ছে। এই এলাকায় এই রেওয়াজ দীর্ঘ দিনের। আমরা একই রাজনৈতিক দলের সদস্য। আমাদের মধ্যে এই বিরোধ থাকা একেবারেই কাঙ্ক্ষিত নয়।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন