ফিরহাদ হাকিম
রাজ্যপাল আইন সংশোধনী বিলে সই করায় কলকাতা পুরসভার মেয়র নির্বাচন সংক্রান্ত জটিলতা আপাতত কেটেছে। পুরসভায় শাসক তৃণমূলের যা আসন সংখ্যা, তাতে ৩ ডিসেম্বরের ভোটে ফিরহাদ (ববি) হাকিমের মেয়র হওয়াটা একপ্রকার নিশ্চিত বলেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু তার পরে ছ’মাসের মধ্যে কাউন্সিলর পদে জিতে আসতে হবে তাঁকে। জানুয়ারিতেই সেই ভোট হতে পারে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।
কলকাতা পুরসভায় এখন ১১৭ নম্বর ওয়ার্ডটি খালি। সেখানে ১৬ ডিসেম্বর নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু ওই ওয়ার্ডে মনোনয়নপত্র জমার দিন পেরিয়ে গিয়েছে। ফলে ববিকে জেতাতে অন্য কোনও কাউন্সিলরকে ইস্তফা দিতে হবে। সূত্রের খবর, ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান তৃণমূল কাউন্সিলর প্রণব বিশ্বাস পদত্যাগ করতে পারেন। ২০০০ সালে ওই ওয়ার্ডে জিতেই পুর-রাজনীতিতে প্রবেশ করেছিলেন ববি। তবে তৃণমূল সূত্রে বলা হচ্ছে, এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
৩ ডিসেম্বর ববি মেয়র নির্বাচিত হলে ২ জুনের মধ্যে তাঁকে কাউন্সিলর হতে হবে। কিন্তু তার অন্তত মাস তিনেক আগেই লোকসভা ভোটের দামামা বেজে যাবে। তখন পুরসভার উপনির্বাচন করা সম্ভব হবে না। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উপনির্বাচন সেরে ফেলতে তৃণমূল নেতৃত্ব আগ্রহী বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: তৈরির পরে মনে হল ছোট! আরও গচ্চা দিয়ে বাড়বে ‘বিগ বেন’
তবে শাসক দলের এক নেতার মতে, কোনও কাউন্সিলর যত ক্ষণ না পদত্যাগ করছেন, তত ক্ষণ উপনির্বাচন নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা সম্ভব নয়। আগামী সোমবারের মেয়র নির্বাচনের পরে কোন কাউন্সিলর ইস্তফা দেবেন, তা চূড়ান্ত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাঁধন খোলার সাধনেই মত্ত শহর
তবে ববির জন্য উপনির্বাচনে তাড়াহুড়ো করলেও রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় প্রায় ৩০-৩৫টি আসন শূন্য রয়েছে। কিন্তু সেগুলি নিয়ে রাজ্য সরকারের কোনও মাথাব্যথা নেই বলেই অভিযোগ বিরোধীদের।