(বাঁ দিকে) সমুদ্র বসু। সুজিত বসু (ডান দিকে) — ফাইল চিত্র।
প্রায় ১২ ঘণ্টা পর ইডি-র দফতর থেকে বেরোলেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর পুত্র সমুদ্র বসু। পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে তাঁকে সোমবার সকালে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই মতো সকালেই নথিপত্র নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়েছিলেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবারও সমুদ্রকে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু সে দিন কেন্দ্রীয় সংস্থার দফতরে যাননি সুজিতের পুত্র। জানিয়েছিলেন, তাঁর ব্যক্তিগত কাজ রয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, সে বার তিনি আবেদন করেছিলেন, তাঁকে অন্য কোনও দিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হোক। সেই মতো সোমবার ইডি-র দফতরে যান সমুদ্র। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ তিনি সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরোন বলে সূত্রের খবর।
তার আগে বুধবার হাজিরা এড়িয়েছেন সুজিতের স্ত্রীও। তবে গত সপ্তাহে সুজিতের কন্যা মোহিনী বসু ইডির দফতরে হাজিরা দিয়েছেন। নথিপত্র নিয়ে তিনি সিজিও কমপ্লেক্সে যান। তাঁর স্বামীকেও ইডি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল। সুজিতের জামাইয়ের পরিবার ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। সে সব ব্যবসায় পুরনিয়োগ দুর্নীতির টাকা ব্যবহৃত হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতেই তাঁকে ডেকে পাঠায় ইডি। এই প্রসঙ্গে সুজিত জানিয়ে দেন, হাজিরা দিচ্ছেন না মানেই যে তাঁরা পালাতে চাইছেন, এমনটা নয়। তাঁরা পালিয়ে যাওয়ার লোক নন।
পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে লেকটাউনে সুজিতের দু’টি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকেরা। দীর্ঘ তল্লাশির পর উদ্ধার হয়েছিল বেশ কিছু নথি। সঙ্গে দমকলমন্ত্রীর মোবাইল ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। সম্প্রতি ওই মামলার তদন্তে কলকাতার বেশ কিছু জায়গায় ফের হানা দেয় ইডি। সল্টলেকের সেক্টর ওয়ানে সুজিতের দফতরে তল্লাশি চলে। গোলাহাটায় সুজিতের পুত্রের ধাবাতেও তল্লাশি চালানো হয়।