এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
বীরভূমে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যুবতীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলরের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল জেলা জজ কোর্ট। অভিযুক্ত রামপুরহাট পুরসভার এক ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। গত ২৯ অক্টোবর রামপুরহাট থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ‘নির্যাতিতা’। যদিও এখনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি রামপুরহাট থানার পুলিশ।
ধর্ষণের মামলায় জামিন চেয়ে গত ৩ নভেম্বর অভিযুক্ত কাউন্সিলর সিউড়ির জেলা জজ কোর্টে আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৩ নভেম্বর শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই দিন অভিযুক্তের আইনজীবী আদালতের কাছে অতিরিক্ত সময় চেয়ে আবেদন করেন। সোমবার ফের সেই মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই অভিযুক্ত কাউন্সিলরের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন বিচারক।
অন্য দিকে, নির্যাতিতার দাবি, অভিযুক্ত কাউন্সিলর এখনও প্রকাশ্যে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। হুমকিও দিচ্ছেন। অথচ রামপুরহাট থানার পুলিশ বা তদন্তকারী আধিকারিকেরা নাকি তাঁকে খুঁজে পাচ্ছেন না! মহিলার কথায়, শাসকদলের ‘প্রভাবশালী’ কাউন্সিলর হওয়ার কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করছে না রামপুরহাট থানার পুলিশ। অবশ্য অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরদিনই, গত ৩০ অক্টোবর অভিযুক্তকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে তাঁকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
অভিযুক্ত কাউন্সিলর দলের সংশ্লিষ্ট শহর কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন। অভিযোগ, ২০১৫ সালে ভোটার কার্ড তৈরির সময় ওই পুরপ্রতিনিধির সঙ্গে নির্যাতিতার পরিচয় হয়। ওই ব্যক্তি বিবাহিত এবং এক সন্তানের বাবা হলেও সে কথা গোপন করে যুবতীর সঙ্গে মেলামেশা করেন বলে দাবি। এমনকি, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যুবতীকে কয়েক বার ধর্ষণও করেন ওই কাউন্সিলর। এর পর যুবতীর পরিবার ওই পুরপ্রতিনিধির সঙ্গে বিয়ে দিতে উদ্যোগী হতেই তিনি জানান, তিনি বিবাহিত। বিয়ে করতেও অস্বীকার করেন। পরে নির্যাতিতার অন্যত্র বিয়ে হয়। অভিযোগ, এর পরেও ওই পুরপ্রতিনিধি তাঁকে ধর্ষণ করেন। তার জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন ওই মহিলা। ২০২০ সালে সন্তান হয় তাঁর। এর মাঝে আবার নির্যাতিতার স্বামী বিষয়টি জানতে পেরে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন। সেই মামলারও এখনও নিষ্পত্তি হয়নি বলে জানিয়েছেন ওই মহিলা।