গোষ্ঠী-বিবাদে ফের হাঙ্গামা আশুতোষে

মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ার কলেজ। এক অর্থে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজেরও কলেজ (যোগমায়া)। এ-হেন আশুতোষ কলেজে ধুন্ধুমার বেধে গেল মমতার দলেরই ছাত্র শাখা টিএমসিপি-র দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৩:৩৪
Share:

মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ার কলেজ। এক অর্থে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজেরও কলেজ (যোগমায়া)। এ-হেন আশুতোষ কলেজে ধুন্ধুমার বেধে গেল মমতার দলেরই ছাত্র শাখা টিএমসিপি-র দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে।

Advertisement

ফর্ম তোলার লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে মঙ্গলবার প্রথমে দু’পক্ষে বচসা বাধে। পরে সেটাই গড়ায় হাতাহাতিতে। কাঠগড়ায় শাসক দলের ছাত্র শাখা তৃণমূল ছাত্র পরিষদেরই দু’টি গোষ্ঠী। যদিও অভিযোগ স্বীকার করেনি টিএমসিপি। লালবাজার জানিয়েছে, ফর্ম তোলাকে কেন্দ্র করেই গোলমাল। এক ছাত্র হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

কলেজ সূত্রের খবর, এ দিন দ্বিতীয় বর্ষে ভর্তির ফর্ম দেওয়া হচ্ছিল। বেলা দেড়টা নাগাদ লাইন ভেঙে ঢুকে পড়েন কলেজের ছাত্র শাখার প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক, বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএমসিপি-র আহ্বায়ক শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কলেজের প্রাক্তন ইউনিট প্রেসিডেন্ট সৌম্যদীপ দাসের গোষ্ঠীর লোকজন। কারা আগে ফর্ম তুলবে, তা নিয়ে বচসা শুরু হয়ে যায়। অচিরেই বাহুবলের প্রদর্শনীতে নেমে পড়ে দু’পক্ষ।

Advertisement

কলেজের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে দুই প্রাক্তনীর অনুগামীরা নাক গলালেন কেন? সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা কিছু বলতে রাজি নন। বিকেলে কলেজ-চত্বরে গেলে সংবাদমাধ্যমকে ভিতরে ঢুকতে বাধা দেন পড়ুয়ারাই। কোনও ভাবেই কলেজের অধ্যক্ষ দীপককুমার করের সঙ্গে দেখা করা যায়নি। ফোন করেও তাঁর সাড়া মেলেনি।

শুভদীপ বলেছেন, তিনি কোনও হাঙ্গামার কথা জানেন না। যদিও এ দিন কলেজের বাইরে দেখা গিয়েছে তাঁকেও। সৌম্যদীপ বলেছেন, তিনিও কিছু শোনেননি। কোনও গোলমালের কথা মানতে চাননি কলেজের ছাত্র সংসদের কার্যনির্বাহী সাধারণ সম্পাদক শুভ দত্ত। টিএমসিপি-র রাজ্য সভাপতি অশোক রুদ্রের মন্তব্য, ‘‘ফর্ম তোলাকে কেন্দ্র করে গোলমাল হয়েছে বলে শুনেছি। তবে তার সঙ্গে দল কোনও ভাবেই যুক্ত নয়।’’

গোলমাল লেগেই আশুতোষে। কয়েক বছর আগে ওই কলেজে তুমুল সংঘর্ষে এক ছাত্রের চোখ নষ্ট হয়ে যায়। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও ওই কলেজের প্রাক্তনী। যে-কলেজ মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর, সেখানে বারবার হাঙ্গামা কেন, প্রশ্ন ভুক্তভোগী পড়ুয়া এবং উদ্বিগ্ন অভিভাবকদের।

কলেজ-কর্তৃপক্ষের মুখে কুলুপ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন