বিদ্যাসাগর কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইউনিট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন ওই সংগঠনের নেতৃত্ব। মঙ্গলবার টিএমসিপি-র সভানেত্রী জয়া দত্ত জানিয়েছেন, ওই কলেজে টিএমসিপি-র যে ইউনিট এখন রয়েছে, তা ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে ফের তা তৈরি হবে। তবে ওই নতুন ইউনিটে একমাত্র কলেজের বর্তমান পড়ুয়ারাই থাকবেন। প্রাক্তনদের কোনও ঠাঁই হবে না।
টিএমসিপি সূত্রের খবর, বেশ কয়েক মাস ধরেই কলেজের দুই প্রাক্তন পড়ুয়া মিঠুন যাদব ও অমিত ঘোষের গোষ্ঠী সেখানে মাথাচাড়া দিচ্ছিল। কয়েক বার নিজেদের মধ্যে গোলমাল হলেও বড় কোনও ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু গত শনিবার গোলমাল চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছয়। দিবা বিভাগের ইউনিয়ন রুমে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। টিভি, ল্যাপটপ, চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করা থেকে শুরু করে লাঠি, উইকেট, ব্যাট হাতে দু’পক্ষের মারামারিতে রক্তাক্ত হন চার জন ছাত্র। এমনকী, হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই মঙ্গলবার ওই দুই গোষ্ঠীকে নিয়ে তৃণমূল ভবনে বৈঠকে বসেন জয়া দত্ত ও সংগঠনের অন্য নেতারা। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, জয়পুরিয়া কলেজেও পড়ুয়াদের দুই গোষ্ঠীর রক্তাক্ত সংঘর্ষের পরে ইউনিট ভেঙে দেওয়া হয়। প্রাক্তনদের গতিবিধি বেঁধে দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তার পরেও বারবার মারামারিতে জড়িয়েছেন পড়ুয়ারা। কারণ, প্রাক্তনরা বাইরে থেকে সমস্ত কিছু নিয়ন্ত্রণ করেন বলে অভিযোগ। এ ক্ষেত্রে তেমন কিছু হবে না তো? জয়াদেবী বলেন, ‘‘যাঁদের নাম গোলমালে জড়াবে, তাঁদের বহিষ্কারের জন্য দলনেত্রীকে আবেদন করব।’’