EM Bypass

বাইপাসে নিগৃহীত ট্র্যাফিক সার্জেন্ট

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০২:৪২
Share:

প্রতীকী ছবি

বাইপাসে বেপরোয়া বাইকচালকের হাতে নিগৃহীত হলেন এক ট্র্যাফিক সার্জেন্ট। পুলিশ সূত্রের খবর, ট্র্যাফিক আইন ভেঙে একটি বাইক অন্য একটি বাইককে ধাক্কা মেরেছিল। অভিযুক্ত চালককে ধরতে যান ওই সার্জেন্ট। আইন ভাঙা বাইকের চালক তখন সার্জেন্টের সঙ্গে বচসা জুড়ে দেন। অভিযোগ, বচসা চলাকালীন সার্জেন্টকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেন ওই বাইকচালক। তবে স্থানীয় লোকজন শেষ পর্যন্ত তাঁকে ধরে ফেলেন।

Advertisement

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে সার্ভে পার্ক থানা এলাকার সিংহবাড়ি মোড়ে ওই ঘটনা ঘটে। সন্তোষপুরের দিক থেকে মুকুন্দপুরের দিকে যাচ্ছিল একটি মোটরবাইক। আরোহীদের কারও মাথায় হেলমেট ছিল না। অভিযোগ, বেপরোয়া গতিতে চলতে গিয়ে বাইকটি সিগন্যাল ভেঙে অন্য একটি বাইককে ধাক্কা মারে। তাতে ওই তিন আরোহী রাস্তায় ছিটকে পড়েন। পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। তবে তত ক্ষণে বাইকের চালক বাদে দুই সওয়ারি পালিয়ে যান। চালককে ধরে ফেলে পুলিশ।

সেই সময়ে সিংহবাড়ি মোড়ে ডিউটিতে ছিলেন পূর্ব যাদবপুর ট্র্যাফিক গার্ডের সার্জেন্ট সুমনকল্যাণ ঢাক। তিনি দীপঙ্কর দাস নামে ওই বাইকচালককে ধরতে যান। কিন্তু চালক সুমনবাবুর সঙ্গে বচসা জুড়ে দেন। পুলিশ জানায়, সেই সময়ে আচমকাই সুমনবাবুকে ধাক্কা মারেন অভিযুক্ত চালক। তাতে সুমনবাবু রাস্তায় পড়ে যান। তবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন দীপঙ্করকে ধরে ফেলেন। পরে ওই বাইকচালককে তুলে দেওয়া হয় সার্ভে পার্ক থানার পুলিশের হাতে। পুলিশ দীপঙ্করকে গ্রেফতার করেছে।

Advertisement

বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বাইকটিও। ধৃতের বিরুদ্ধে পুলিশ অফিসারকে নিগ্রহ এবং বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর অভিযোগ এনেছে পুলিশ।

শুক্রবার পুলিশ অভিযুক্তকে আলিপুর আদালতে হাজির করে। তবে ওই বাইকচালক জামিনে মুক্তি পান। ওই বাইকের বাকি দুই আরোহীর খোঁজ চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তদন্তকারীরা জানান, একে তো মাথায় কারও হেলমেট ছিল না। তার উপরে ই এম বাইপাসের মতো রাস্তায় সিগন্যাল না মেনেই এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ধৃত চালক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন