Cyclone Amphan

চালা উড়িয়ে, গাছ ফেলে তাণ্ডব সল্টলেকে

আমপান থেকে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে একই পদক্ষেপ করা হয়েছিল নিউ টাউনেও। এলাকায় উড়ালপুল থেকে বিশ্ববাংলা গেট ধরে গাড়ি চলাচল বন্ধ করা হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ মে ২০২০ ০৫:০৮
Share:

ভোগান্তি: ঝড় শেষে জল ঠেলে বাড়ি ফেরা। বুধবার রাতে, রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

দুপুর থেকে দমকা হাওয়া আর ঝড় দেখেই চিন্তা বাড়ছিল। সেই চিন্তা সত্যি প্রমাণ করে রাজারহাট ও সল্টলেকের বিভিন্ন এলাকা লন্ডভন্ড করল ঘূর্ণিঝড় আমপান।

Advertisement

বিকেল থেকে ঝড়ের দাপটের সঙ্গেই সমানুপাতিক হারে বাড়তে থাকে গাছ পড়ার ঘটনা। সল্টলেকের একের পর এক ব্লক, সংযুক্ত এলাকা এবং রাজারহাট-গোপালপুর এলাকায় গাছ ও বাতিস্তম্ভ উপড়ে রাস্তা অবরুদ্ধ হতে থাকে। তবে গাছ সরানোর কাজে নেমে পড়েছিলেন পুরকর্মীরাও।

সল্টলেকে ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে এএ ব্লক, সিজিও কমপ্লেক্স, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের ডিডি, ইসি, সিডি ব্লকের একাধিক জায়গায় ছোট-বড় গাছ উপড়ে পড়েছে। লাবণি আবাসনে গাছ পড়ে পাঁচিল ভেঙে যাওয়ার খবর জানিয়েছে পুরসভা। করুণাময়ী আবাসন, ৩৩ নম্বর-সহ একাধিক ওয়ার্ডেও গাছ পড়েছে বলে জানানো হয়েছে।

Advertisement

সল্টলেকের ৩৮, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের দত্তাবাদ এলাকায় কোথাও বাড়ির চাল উড়েছে, কোথাও একাধিক অস্থায়ী ঘর ভেঙেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্মল দত্তের বাড়ি। ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তিনগরেও ক্ষতির ছবিটা প্রায় একই।

ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের ধারে ভেঙে পড়েছে বড় বড় একাধিক হোর্ডিংয়ের কাঠামো। কমবেশি একই ছবি দেখা গিয়েছে রাজারহাট-গোপালপুর এলাকায়। রাস্তার ধারের দোকান ও অস্থায়ী ঘরের চাল উড়ে গিয়েছে। আপৎকালীন তৎপরতায় কাজে নেমে পড়ে পুর প্রশাসন। নিচু এলাকা এবং বিপজ্জনক বাড়ি থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের ত্রাণের জন্য খাবার, ত্রিপল প্রভৃতি মজুত করা হয়েছে।

আমপান থেকে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে একই পদক্ষেপ করা হয়েছিল নিউ টাউনেও। এলাকায় উড়ালপুল থেকে বিশ্ববাংলা গেট ধরে গাড়ি চলাচল বন্ধ করা হয়েছিল। ঝড়ের তাণ্ডবে জ্যাংড়া, হাতিয়াড়া দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বহু জায়গায় গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে। খবর পেয়েই বিদ্যুৎ পর্ষদের কর্মীরা দ্রুত মেরামতির কাজে হাত লাগান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন