বিমান ভাড়ায় রাশ চায় ত্রিপুরা সরকার

অক্টোবর থেকে জানুয়ারি— এই চার মাস আগরতলা-কলকাতা রুটের বিমান টিকিটের ভাড়া বেড়ে যায় অস্বাভাবিক হারে। এই ভাড়ায় লাগাম পরাতে কেন্দ্রকে অনুরোধ করল ত্রিপুরা সরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আগরতলা শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৩:১৬
Share:

অক্টোবর থেকে জানুয়ারি— এই চার মাস আগরতলা-কলকাতা রুটের বিমান টিকিটের ভাড়া বেড়ে যায় অস্বাভাবিক হারে। এই ভাড়ায় লাগাম পরাতে কেন্দ্রকে অনুরোধ করল ত্রিপুরা সরকার।

Advertisement

পুজোর মরসুম কাছে আসার সঙ্গে সঙ্গেই ত্রিপুরা থেকে কলকাতা যাতায়াতের বিমান ভাড়া বহু গুণ বেড়ে যায়। পুজো ও ছুটির মরসুমে এই রুটে দু’হাজার টাকার বিমান-টিকিট বিক্রি হয় ১৩-১৪ হাজার টাকায়। কখনও কখনও তারও বেশি। বিমান ভাড়ার কোনও ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়া নেই কলকাতা-আগরতলা এবং আগরতলা-কলকাতা রুটে। কেন্দ্রের বিমানমন্ত্রী অশোক গজপতি রাজুর সঙ্গে সম্প্রতি দেখা করে এ বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন ত্রিপুরার পরিবহণ মন্ত্রী মানিক দে। মানিকবাবু বলেন, ‘‘টিকিটের দাম নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে দামের একটা ঊর্ধ্বসীমা অন্তত বেঁধে দিক কেন্দ্র।’’

মানিকবাবু জানান, আগরতলা-কলকাতা আকাশ পথে ৩১০ কিমি অতিক্রম করতে পুজোর মরসুমে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ১৩-১৪ হাজার টাকা বা তারও বেশি। আর আগরতলা-দিল্লি ১,৪০০ কিমি উড়তে টিকিটের ভাড়া হাজার পাঁচেক টাকা। রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘‘বিমান ভাড়ার ক্ষেত্রে এই অস্বাভাবিক পার্থক্য কেন হবে?’’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অবশ্য বলেছেন, বিমান ভাড়া নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রের কোনও হাত নেই। তবে আগরতলা-কলকাতা রুটে আরও বেশি উড়ান দেওয়ার জন্য রাজ্যের দাবি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

ত্রিপুরায় এখন রেল পরিষেবা বন্ধ। ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের অবস্থাও বেহাল। এ অবস্থায় আগরতলা-কলকাতা রুটে অন্তত আরও চারটে উড়ান বাড়ানোর জন্য বিমানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন ত্রিপুরার পরিবহণ মন্ত্রী। বিমান পরিষেবার উপর রাজ্যবাসীর নির্ভরতা কী পরিমাণে বাড়ছে, সে তথ্যও দিয়েছেন মানিকবাবু। ২০১৩ সালে আগরতলা বিমানবন্দর দিয়ে ৫ লক্ষেরও বেশি যাত্রী যাতায়াত করেছেন। আর ২০১৪ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে ৯ লক্ষ ছাপিয়ে যায়। বাংলাদেশ সরকারও আগরতলায় উড়ান চালাতে আগ্রহী। এই পরিস্থিতিতে আগরতলার সিঙ্গারবিল বিমানবন্দরের গুরুত্ব ক্রমশই বাড়ছে। পড়শি রাজ্য মণিপুরের ইম্ফল বিমানবন্দরের মতো আগরতলা বিমানবন্দরকে কেন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসাবে ঘোষণা করা হবে না— এই প্রশ্নও তুলেছেন মানিক দে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন