শহরে দু’টি ভিন্ন দুর্ঘটনায় আহত এক বৃদ্ধা পথচারী-সহ ১৭

সাতসকালেই শহরের দু’টি ভিন্ন জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটল। রবিবার প্রথম ঘটনাটি ঘটে আলিপুর হর্টিকালচারের কাছের রাস্তায়। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে রাজাবাজারে। প্রথম ঘটনায় আহত হয়েছেন বাসচালক-সহ ১৪ জন বাসযাত্রী। অন্য দিকে, দ্বিতীয় ঘটনায় এক বৃদ্ধা পথচারী-সহ তিন জন আহত হয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৫ ১৩:১৩
Share:

আলিপুর হর্টিকালচারের কাছে দুর্ঘটনা।

সাতসকালেই শহরের দু’টি ভিন্ন জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটল। রবিবার প্রথম ঘটনাটি ঘটে আলিপুর হর্টিকালচারের কাছের রাস্তায়। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে রাজাবাজারে। প্রথম ঘটনায় আহত হয়েছেন বাসচালক-সহ ১৪ জন বাসযাত্রী। অন্য দিকে, দ্বিতীয় ঘটনায় এক বৃদ্ধা পথচারী-সহ তিন জন আহত হয়েছেন।

Advertisement

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে খবর, এ দিন সকাল ৮টা নাগাদ আলিপুর হর্টিকালচারের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল তারকেশ্বরগামী একটি বাস। আমতলা থেকে আসা ওই বাসটির পিছনে আচমকাই ধাক্কা মারে একটি টাটা ৪০৭। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আলিপুর থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনায় আহত হয়েছেন বাসের চালক-সহ ১৪ জন যাত্রী। পুলিশ জানিয়েছে, ভাড়া করা বাসটি পূণ্যার্থীদের নিয়ে আমতলা থেকে তারকেশ্বর যাচ্ছিল। আহতদের এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। আহতদের মধ্যে বাসচালক ও টাটা ৪০৭-এর চালকও রয়েছেন। টাটা ৪০৭-এর চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এ দিন দ্বিতীয় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে রাজাবাজার এলাকার এপিসি রোডে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এ দিন সকালে পৌনে ১০টা নাগাদ এপিসি রোড দিয়ে ২৩০ নম্বরের একটি বাস তীব্র গতিতে আসছিল। শিয়ালদহ থেকে শ্যামবাজারগামী ওই বাসটি গড়পার রোড এবং সুকিয়া স্ট্রিটের সংযোগস্থলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারেই সিটিসি-র ফিডার বক্সের গায়ে ধাক্কা মারে। এর পর বাসটি আড়াআড়িভাবে অন্য লেনে চলে আসে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার ছুটির দিন হওয়ায় বাসে যাত্রী কম ছিলেন। আতঙ্কে বাসযাত্রীরা হুড়মুড়িয়ে নেমে আসেন। ওই সময় রাস্তা পার হচ্ছিলেন এক বৃদ্ধা পথচারী। বাসের ধাক্কায় তিনি রাস্তায় পড়ে যান। পুলিশ জানিয়েছে, আহত ওই বৃদ্ধার নাম আরতি দাস। আরতিদেবী ছাড়াও ঘটনায় আরও দু’জন আহত হয়েছেন। আরতিদেবীর বাড়ি রাজাবাজারের বাদুড়বাগান লেনে। তাঁকে গুরুতর জখম অবস্থায় এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। অপর দু’জনকে স্থানীয় হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এ দিনের ঘটনার পর দুপুর ১২টা পর্যন্ত ধর্মতলা-বিধাননগর রুটের ট্রাম চলাচল বন্ধ থাকে। পুলিশ বাসটিকে আটক করলেও বাসের চালক পলাতক।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন