Calcutta News

বেহালা, হরিদেবপুরে সকালে বহুতল থেকে ঝাঁপ!

এগুলি নিছকই দুর্ঘটনা নাকি খুন বা আত্মহত্যার ঘটনা, তা নিয়ে পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে। দু’টি ঘটনার মধ্যে কোনও যোগসাজশ রয়েছে কি না তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০১৯ ১১:৪৬
Share:

তদন্তে নেমেছে পুলিশ। হরিদেবপুরের ডায়মন্ড সিটি সাউথ অ্যাপার্টমেন্টে। - নিজস্ব চিত্র।

শুক্রবার সকালে প্রায় একই সময়ে দক্ষিণ কলকাতার দু’টি জায়গায় বহুতল থেকে পড়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। একটি ঘটনা ঘটেছে ঠাকুরপুকুরে। অন্যটি, হরিদেবপুরে। এক জনের মৃত্যু হয়েছে ৮ তলা থেকে পড়ে। অন্য জন পড়ে গিয়েছেন ৫ তলার ছাদ থেকে।

Advertisement

এগুলি নিছকই দুর্ঘটনা নাকি খুন বা আত্মহত্যার ঘটনা, তা নিয়ে পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে। দু’টি ঘটনার মধ্যে কোনও যোগসাজশ রয়েছে কি না তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পুলিশ জানাচ্ছে, এ দিন প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে হরিদেবপুরে ২০ তলার ডায়মন্ড সিটি সাউথ অ্যাপার্টমেন্টে। সকাল ৭টা ৪০ মিনিট নাগাদ। ওই অ্যাপার্টমেন্টের টাওয়ার ফোরের ৯ তলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় ব্যবসায়ী প্রমোদ জালানের (৫৪)। এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

Advertisement

মৃত্যুকে ঘিরে দানা বেঁধেছে রহস্য। ঘটনায় আত্মহত্যার সম্ভাবনাও এড়িয়ে যাচ্ছে না পুলিশ। সূত্রের খবর, এক মেয়ে এবং স্ত্রীকে নিয়ে বহু বছর ধরেই ওই আবাসনে থাকতেন প্রমোদ জালান। বছর দেড়েক আগে গাড়ি দুর্ঘটনায় হাঁটাচলার শক্তি হারিয়ে ফেলেন তাঁর স্ত্রী। তার পর থেকেই হতাশায় ভুগছিলেন তিনি। মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না তা নিয়েও দানা বেঁধেছে রহস্য।

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পা পিছলে পড়ে যেতে পারেন ওই ব্যক্তি। সিসিটিভি ফুটেজও দেখার চেষ্টা চলছে। যদিও চার নম্বর টাওয়ারের সিসিটিভি ক্যামেরা গত দু’বছর ধরেই অকেজো হয়ে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এ দিন সকালে ওই প্রৌঢ়ের সঙ্গে আর কেউ ছিলেন কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

আরও পড়ুন- বাবাকে মারধর, আত্মঘাতী কিশোরী​

আরও পড়ুন- সুইসাইড নোটে স্বামীর নাম

পরের ঘটনাটি ঘটে সকাল ৮টা ৪০ মিনিট নাগাদ। পুলিশ জানাচ্ছে, ঠাকুরপুকুর থানা এলাকার আনন্দনগরে দক্ষিণ বেহালা রোডে ৫ তলার ‘স্বপ্ননীর’ অ্যাপার্টমেন্টের ছাদ থেকে পড়ে ৯২ বছর বয়সী এক জনের মৃত্যু হয়। তাঁর নাম নগেন চন্দ্র ভাওয়াল। বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ জানাচ্ছে, নগেন বাবু তাঁর মেয়ে, জামাইয়ের সঙ্গে থাকতেন ওই বহুতলে।

লালবাজারের হোমিসাইড স্কোয়াডের গোয়েন্দারা কিছু ক্ষণের মধ্যেই পৌঁছে যান দু’টি ঘটনাস্থলে। এক পুলিশ কর্তার কথায়, ‘‘এগুলি নিছকই দুর্ঘটনা, নাকি খুন বা আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা, আমরা তা খতিয়ে দেখছি। যেহেতু কাছাকাছি দু’টি এলাকায় প্রায় একই সময়ে এই ঘটনা ঘটেছে, তাই দু’টি ঘটনার মধ্যে কোনও যোগসাজশ রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন