দুপুরে এক বছর ৪৫-য়ের ব্যক্তি। বিকেলে এক তরুণ। দুপুরে এসপ্ল্যানেড স্টেশন। বিকেলে গীতাঞ্জলি।
তিন-সাড়ে তিন ঘণ্টায় ব্যবধানে দুটি জায়গায় মেট্রো রেলে কাটা পড়তে পড়তে বেঁচে যান ওই দু’জন। দু’জনের চিকিৎসা চলছে দুই ভিন্ন হাসপাতালে। পুলিশের দাবি, ৪৫ বছরের যুবক এবং তরুণ- দু’জনেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। ওই দুই ঘটনায় রবিবার ছুটির দিনে ভোগান্তির শিকার হলেন মেট্রোর যাত্রীরা।
দ্বিতীয় ঘটনাটি মাটির উপরে ঘটায় যাত্রীদের মধ্যে তেমন আতঙ্ক ছড়ায়নি। কিন্তু দুপুরে এসপ্ল্যানেড স্টেশনের ঘটনার সময়ে ট্রেনের অনেকটা অংশই ছিল সুড়ঙ্গের ভিতরে। চিৎকার আর অন্ধকার রেক রীতিমতো আতঙ্ক ছড়ায় যাত্রীদের মধ্যে।
রবিবার ছুটির দিনে বিকেল সাড়ে ৩টের মেট্রো। বেশ ভিড়। এসপ্ল্যানেড স্টেশনে ঢুকছিল ট্রেন, নামার জন্য অনেকেই দরজার সামনে দাঁড়িয়ে। হঠাৎই এক আর্ত চিৎকার। ট্রেনের সমস্ত কামরাতেই শোনা গেল সেই চিৎকার। তার পরেই থমকে গেল ট্রেন।
তখনও ট্রেনের সব ক’টি কামরা প্ল্যাটফর্মে ঢোকেনি। যাত্রীরা বিভ্রান্ত। কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। একেবারে পিছনের কামরার যাত্রীরা অনেকেই চালক ও গার্ডের কথপোকথন শুনতে পেলেন। চলক গার্ডকে বলছেন, ‘এক আদমি লেট গ্যয়া লাইন পে’!
এবার আলো, ফ্যান সব বন্ধ হয়ে গেল। চার দিক অন্ধকার। দরজা খুলছে না। কিছু জানাও যাচ্ছে না। যাত্রীরা অধৈর্য হচ্ছিলেন। দরজায় ধাক্কাও দিচ্ছিলেন কেউ-কেউ। খানিক পরেই ট্রেনে ঘোষণা হল, ‘আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। যাত্রীরা অধৈর্য হবেন না।’
এ ভাবে কেটেছে মিনিট দশেক। তার পরে ফের ঘোষণা, ‘সামনে আপৎকালীন দরজা খোলা হয়েছে, তাড়াহুড়ো না করে ধীরে-ধীরে এগোন।’ মুক্তি মিলল আটকে থাকা ট্রেন থেকে।
পুলিশ জানিয়েছে, বছর ৪৫-য়ের এক ব্যক্তিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ট্রেন লাইন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
বিকেল ৫ টা ৫৮ মিনিটে আবারও আত্মহত্যার চেষ্টা গীতাঞ্জলি স্টেশনে ফের আটকে যায় মেট্রো। নিউ গড়িয়াগামী একটি মেট্রোর থার্ড রেলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বছর ১৯-য়ের এক তরুণকে উদ্ধার করা হয়। চিকিৎসার জন্য তাকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে পাঠানো হয়।