কলকাতার রাস্তায় উবের ক্যাব। —ফাইল চিত্র।
দিল্লির পর কলকাতা। মোবাইল অ্যাপ নির্ভর, একটি বেসরকারি সংস্থার ট্যাক্সিতে চালক এক মহিলা যাত্রীর সম্মানহানি করেছে বলে অভিযোগ উঠল। পুলিশ সোমবার রাতে ওই চালককে গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪-এ ধারায় অর্থাৎ যৌন হেনস্থা করার অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। কলকাতার রাজপথে ট্যাক্সির পরিষেবা দেওয়া সংস্থাটির সদর দফতর আমেরিকায়।
ভবানীপুরের একটি শপিং মলের সামনে থেকে টালিগঞ্জের বাড়িতে যাবেন বলে মোবাইল অ্যাপের সাহায্যে মার্কিন সংস্থা উবেরের ট্যাক্সি ভাড়া করেছিলেন এক তরুণী। কিছু দূর যাওয়ার পর ওই তরুণী লক্ষ্য করেন ট্যাক্সিচালক ‘রিয়ার গ্লাস’ দিয়ে তাঁর দিকে তাকিয়ে আছে। এবং অস্বাভাবিক আচরণ করছে। ওই তরুণী ভাল মতো লক্ষ্য করে দেখতে পারেন ওই ট্যাক্সিচালক তাকে উদ্দেশ্য করে চলন্ত গাড়িতেই অশালীন আচরণ করছে। তরুণী কোন প্রতিবাদ না করেই নির্দিষ্ট জায়গাতে ভাড়া মিটিয়ে নেমে যান। পরে ওই সংস্থা-সহ পুলিশের কাছে চালকের বিরুদ্ধে তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ করার অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে সপ্তাহ দুয়েক আগে। ওই তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার রাতে অভিযুক্ত ট্যাক্সিচালককে গ্রেফতার করেছে ভবানীপুর থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ওই ট্যাক্সিচালকের নাম পিন্টু যাদব। তাকে তিলজলার কুষ্ঠিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪-এ ধারায় ওই চালকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
চলতি মাসেই দিল্লিতে ওই একই সংস্থার এক জন চালকের বিরুদ্ধে এ রকম অভিযোগ উঠেছিল। ট্যাক্সির ভিতর এক নৃত্যশিল্পীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করার অভিযোগে বিনোদ কুমার নামে ওই চালককে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। পরে তাকে বরখাস্ত করে ওই মার্কিন সংস্থা। গত বছরের ডিসেম্বরে উবের ক্যাবের ভিতরে ধর্ষণের অভিযোগও উঠেছিল।
দিল্লির ওই ঘটনাগুলির পরেও চালকদের যে টনক নড়েনি, তা প্রমাণ হল কলকাতার ঘটনায়। ওই সংস্থা চালকদের পরিচয়পত্র রাখায় তদন্তে সুবিধে হয়েছে বলে পুলিশের দাবি।
পুলিশ জানিয়েছে, উবের কর্তৃপক্ষ তাঁদের জানিয়েছেন, অভিযোগ পাওয়ার মিনিটখানেকের মধ্যেই ফোনে ওই চালকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এবং তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।