Unnatural Death

শহরের দু’জায়গায় দুই তরুণীর অস্বাভাবিক মৃত্যু

বুধবার গভীর রাতে পোদ্দারনগরে চারতলা একটি ফ্ল্যাটের তেতলার ঘর থেকে উদ্ধার হয় রুমা সাহা (৩১) নামে এক তরুণীর ঝুলন্ত দেহ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২০ ০১:২৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

একই দিনে শহরের দু’জায়গায় দুই তরুণীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হল। একটি ঘটনা ঘটেছে তপসিয়া থানা এলাকায়, অন্যটি যাদবপুরের পোদ্দারনগরে। তপসিয়ার ঘটনায় পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮এ (বধূ নির্যাতন) এবং ৩০২ ধারায় (খুন) মামলা রুজু করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে মৃত তরুণীর স্বামী শেখ সাজ্জাদকে। যাদবপুরের ঘটনাটিতেও মৃতার স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া এবং বধূ নির্যাতনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

Advertisement

তপসিয়ার ঘটনাটি ঠিক কী?

পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ তপসিয়ার দারাপাড়া বস্তি থেকে মুসকান বেগম (১৮) নামে ওই তরুণীকে অচৈতন্য অবস্থায় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে দেখেন, তরুণীর গলায় ফাঁসের চিহ্ন রয়েছে। তার পরেই তাঁরা হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেন। সেখান থেকে খবর যায় তপসিয়া থানায়। পুলিশ এসে দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য পাঠায়।

Advertisement

কিন্তু সন্ধ্যায় সাহিনা খাতুন নামে এক তরুণী তপসিয়া থানায় এসে নিজেকে মুসকানের দিদি বলে দাবি করেন। অভিযোগে তিনি জানান, তাঁর বোন আত্মহত্যা করেননি। ভগ্নিপতি প্রায়ই বোনের উপরে অত্যাচার করত। সে-ই তাঁকে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দিয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মুসকান আড়াই মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। গত ডিসেম্বরে তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয় সাজ্জাদের। বিয়ের পর থেকেই সে স্ত্রীর উপরে নির্যাতন করত। বৃহস্পতিবার সাজ্জাদকে আদালতে তোলা হলে ১৮ মার্চ পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।

অন্য দিকে পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার গভীর রাতে পোদ্দারনগরে চারতলা একটি ফ্ল্যাটের তেতলার ঘর থেকে উদ্ধার হয় রুমা সাহা (৩১) নামে এক তরুণীর ঝুলন্ত দেহ। পুলিশ তাঁকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে জানান। তদন্তকারীরা জেনেছেন, রুমার স্বামী নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবসা করেন। তাঁদের একটি সন্তানও আছে। ওই তরুণীর পরিজনেদের অভিযোগ, তাঁর স্বামী প্রায়ই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরতেন। এই নিয়ে দম্পতির মধ্যে অশান্তিও হত। ডিসি (এসএসডি) প্রদীপ যাদব বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘ঘটনার বিস্তারিত জানতে মহিলার স্বামীকে আটক করে জিজ্ঞসাবাদ করা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন