‘রেহাই দিন পরিবারকে’

জেল থেকে বেরিয়ে এসে নিজের বাড়ির পরিস্থিতি দেখে, সোশ্যাল মিডিয়ায় সোমবার এমনই একটি আবেগপূর্ণ পোস্ট করলেন মডেল সোনিকা সিংহ চৌহানের মৃত্যুতে অভিযুক্ত অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়। নিজের ফেসবুক পেজ-এ সেই লেখায় তিনি জানালেন, তাঁকে নিয়ে চলা এই নিন্দা-চর্চায় অপমান করা হয়েছে তাঁর মাকেও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৭ ০৩:০৮
Share:

বিক্রম চট্টোপাধ্যায়

সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে নিয়ে ঝড় উঠেছে দফায় দফায়। গত তিন মাসে পক্ষে-বিপক্ষে ভাগ হয়ে গিয়েছেন বহু পরিচিত। যাঁরা চিনতেন না, তাঁদেরও এখন নানা মত তাঁকে ঘিরে। ক্রমশ চলতে থাকা সেই নিন্দায় জড়িয়ে গিয়েছে তাঁর মা-বাবা-বোনের নামও। সে সবের ঝাপটায় ঝড় বয়ে যাচ্ছে তাঁর পরিবারে।

Advertisement

জেল থেকে বেরিয়ে এসে নিজের বাড়ির পরিস্থিতি দেখে, সোশ্যাল মিডিয়ায় সোমবার এমনই একটি আবেগপূর্ণ পোস্ট করলেন মডেল সোনিকা সিংহ চৌহানের মৃত্যুতে অভিযুক্ত অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়। নিজের ফেসবুক পেজ-এ সেই লেখায় তিনি জানালেন, তাঁকে নিয়ে চলা এই নিন্দা-চর্চায় অপমান করা হয়েছে তাঁর মাকেও। তাই মুখ খুলতে বাধ্য হলেন তিনি। সকলের কাছে এ বার বিক্রমের আর্জি, আর নয়। এ বার রেহাই পাক তাঁর পরিবার। এত বিতর্কে বিপর্যস্ত তাঁরা।

ওই পোস্টে নিজের বোনের শারীরিক সমস্যার কথাও উল্লেখ করেছেন অভিনেতা। বলেন, ‘‘যাঁরা ওর শারীরিক অবস্থার বিষয়ে ওয়াকিবহাল তাঁরা জানেন, সারা জীবন ওকে কত লড়াই করতে হয়েছে। একটু স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য এক বছর অন্তর ওর অস্ত্রোপচার করাতে হয়। তার পরে সেরে উঠতে লাগে আরও মাস তিনেক।’’ তার উপরে দাদাকে ঘিরে চলা এত ঝড় সইতে না পেরে মানসিক অবসাদে ভুগছে তাঁর বোন, জানালেন বিক্রম।

Advertisement

আরও পড়ুন:মিলছে না ওষুধ, সঙ্কটে বহু রোগী

বিক্রম আরও লিখেছেন, ‘‘ওই রাতে প্রাণ হারিয়েছে সোনিকা। আর আমার শুধু প্রাণটুকুই রয়ে গিয়েছে, বাকি সব হারিয়েছি আমিও।’’ সোনিকা তাঁর কত কাছের ছিলেন তা উল্লেখ করে অভিনেতার বক্তব্য, গত তিন মাস ধরে তাঁর যেন মানসিক সুনামি চলছে। সোনিকার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তাঁর আক্ষেপ, সেই একটা রাতে যে বরাবরের মতো বদলে গিয়েছে দুই পরিবারের ভাগ্য।

সোনিকার পরিজনেরা অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় বিক্রমের এই আক্ষেপ এক ধরনের ‘ইমোশনাল ব্ল্যাকমেল’ বা আবেগের মাধ্যমে চাপ সৃষ্টির চেষ্টা হিসেবেই দেখছেন। সোনিকার এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয় বলেন, ‘‘ঘটা করে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে মিথ্যে গল্প ফাঁদার সময়ে বিক্রমের এই দিকটা ভাবা উচিত ছিল। সোনিকার সমাধির কাছে গিয়েও তিনি নাটক করে গিয়েছেন। কিন্তু এটা কোনও ফিল্মি দৃশ্য নয়, জীবন। শুধু মত্ত অবস্থায় দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো গাড়ি চালিয়ে নয়, এই আবেগের ভান করা হাবভাবেও আমাদের পরিবারকে তিনি যথেষ্ট কষ্ট দিয়েছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন