১৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর খুলল সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যার

শনিবার দুপুরে মুচিপাড়া থানা ঘেরাও করলেন পুজোর উদ্যোক্তারা। উদ্যোক্তাদের দাবি, অন্যায়ভাবে মণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশ রুখতে বাধ্য করেছে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১৪:৫৪
Share:

মণ্ডপের বাইরে ঝুলল পোস্টার।

১৪ ঘণ্টা পর সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারে দর্শনার্থীদের ঢোকার অনুমতি মিলল। গতকাল রাতেও সোনার শাড়িতে দেবী প্রতিমা দেখতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভিড় জমিয়েছিলেন বহু মানুষ। তবে গেট বন্ধ থাকায় তৈরি হয়েছিল চরম উত্তেজনা

Advertisement

শর্ট সার্কিটের জেরে বিশৃঙ্খলা। এই অভিযোগে সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের পুজো প্যান্ডেল বন্ধ করে দিয়েছিল পুলিশ। এর প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে মুচিপাড়া থানা ঘেরাও করেছিলেন পুজোর উদ্যোক্তারা। উদ্যোক্তাদের দাবি, অন্যায়ভাবে মণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশ রুখতে বাধ্য করেছে পুলিশ। সকাল থেকেই বহু দর্শনার্থী এসে পুজো মণ্ডপের বাইরে ভিড় জমাচ্ছেন। মণ্ডপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ফের খতিয়ে দেখে দর্শকদের জন্য মণ্ডপ খুলে দেওয়ার সবুজ সংকেত দেওয়া হল।

আরও পড়ুন: কাঁদছে আকাশ, কাঁদছে মন, আবার এসো মা

Advertisement

নবমীর রাতে ঠিক কী হয়েছিল? পুলিশ সূত্রে খবর, রাত একটা নাগাদ মধ্য কলকাতার এই পুজোয় আগুন দেখা যায়। বিপদ এড়াতে দর্শনার্থীদের মণ্ডপ থেকে বের করে দেওয়া হয়। মনে করা হয়েছিল শর্ট সার্কিট থেকে এই বিপত্তি। ঝুঁকি না নিয়ে দমকলের পরামর্শে মণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবোশ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ। সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারে ঢোকার রাস্তায় ব্যারিকেড বসানো হয়। মণ্ডপমুখী দর্শনার্থীদের আটকে দেয় পুলিশ। এতে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়। পুলিশের সঙ্গে উদ্যোক্তাদের বচসা বাধে।

ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা হয়। মণ্ডপে ঢুকতে না পেরে বিক্ষোভ দেখান দর্শনার্থীরাও। মধ্য রাতের এই ঘটনায় বেজায় ক্ষুব্ধ পুজোর উদ্যোক্তারা। তাঁরা এই ঘটনায় ষড়যন্ত্র দেখছেন। তাঁদের দাবি দায়িত্ব ঠিকমতো সামলাতে না পেরেই পুলিশ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। উদ্যোক্তাদের মতে সাময়িকভাবে বিশৃঙ্খলা হলেও পুজো বন্ধ করে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি ছিল না। এই যুক্তিতে উদ্যোক্তারা জানান, দমকল জানায় আগুনের কোনও ঘটনা নেই। সিইএসসিও কোনও ত্রুটি পায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন