বিপজ্জনক: পথই যখন ঘর। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য
রাস্তার এক দিকের ফুটপাথ দখল করে তৈরি হয়েছে ঝুপড়ি। স্নান থেকে খেলার জায়গা— সবই রাস্তায়। উল্টো দিকের এক চিলতে ফুটপাথও বিভিন্ন সামগ্রীতে ঠাসা। অপরিসর রাস্তাটি দিয়ে দু’দিকেই গাড়ি যায়। তার উপরে বাচ্চারা গাড়ির সামনে চলে আসায় সতর্ক হয়ে গাড়ি চালাতে হয়। ইএসআই হাসপাতাল থেকে ইএম বাইপাস পর্যন্ত এই রাস্তা নিয়ে এমন অভিযোগ গাড়িচালক ও স্থানীয়দের।
একাধিক বাঁক থাকায় এই রাস্তায় গাড়ি চালানো সমস্যার বলে জানাচ্ছেন চালকেরা। কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, আপাতত ঝুপড়ি সরানোর কোনও পরিকল্পনা নেই। তাই গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণেই নজর দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। রাস্তার ধারে নির্দেশমূলক বোর্ডও রয়েছে। কিন্তু নজরদারির আর কোনও ছবি চোখে পড়ে না।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, সল্টলেক ও বাইপাস থেকে এই রাস্তা ধরে দ্রুত কাঁকুড়গাছিতে যাওয়া যায়। তাই গাড়ির বেশ চাপ। কলকাতা পুলিশের এক কর্তা জানান, ওই রাস্তায় স্পিড ব্রেকার বসানো হয়েছে। পাশাপাশি নজরদারি বাড়াতে আরও অতিরিক্তি পুলিশও মোতায়েন করা হচ্ছে। পুলিশ কর্মীদের একাংশের বক্তব্য, রাতে ওই রাস্তা ঘুটঘুটে অন্ধকারে ডুবে থাকে। তাতে নজরদারিতে সমস্যা হয়।
এই প্রসঙ্গে তিন নম্বর বরোর চেয়ারম্যান অনিন্দ্যকিশোর রাউত বলেন, ‘‘এই সমস্যা দীর্ঘ দিনের। রাস্তার কিছু অংশের ফুটপাথ মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। আলোর অভাব দ্রুত মেটানোর চেষ্টা করা হবে।’’