মেট্রোর দুর্ভোগে জেরবার হয়ে সম্প্রতি যাত্রীদের তরফে কয়েক জন বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন মেট্রোর সদর দফতরে। তাঁদের অভিযোগ শুনতে বাধ্য করেছিলেন মেট্রো-কর্তাদের। কিন্তু এ বার আর অফিসে গিয়ে নয়, লাইনেই মেট্রো আটকে দিলেন যাত্রীরা।
শুক্রবার সকালে মহানায়ক উত্তমকুমার স্টেশনের ঘটনা। এ দিন কবি নজরুল থেকে আসা একটি রেকের বাতানুকূল যন্ত্র থেকে একনাগাড়ে জল পড়ায় ভিজে যাচ্ছিলেন যাত্রীরা। ট্রেন মহানায়ক উত্তমকুমার স্টেশনে পৌঁছলে এসি সারানোর দাবিতে যাত্রীরা আটকে দেন সেটি। বাধ্য হয়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষ মেকানিক ডাকলে প্রায় ১০ মিনিটের চেষ্টায় জল পড়া বন্ধ হয় এবং ফের যাত্রা শুরু করে ট্রেনটি। এর জেরে দুপুর ১২টা থেকে কয়েকটি মেট্রো দেরিতে চলেছে।
কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, বার বার অভিযোগের পরেও মেট্রোর অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে না কেন? মেট্রো সূত্রে খবর, বাতানুকূল রেকগুলি প্রোটোটাইপ (পরীক্ষামূলক) হওয়ায় নানা ত্রুটি রয়েছে। তার উপরে সেগুলি নিয়ে মেট্রোর কারশেডের মেকানিকদের সে ভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি বলে গোলমাল হলে ঠিক মতো সারাতেও পারছেন না তাঁরা।
তবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই যে এমন হাল, মানতে নারাজ মেট্রো-কর্তৃপক্ষ। মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র জানান, এসি-র ফ্যান ও ফিল্টারে ধুলো জমলেই তার জল ভেন্ট দিয়ে কামরার ভিতরে পড়তে থাকে। এ যুক্তি মানতে চাননি ইঞ্জিনিয়ারেরা। তাঁরা জানান, এসি-র কন্ডেনসার বাতাসের সংস্পর্শে এলে তাপমাত্রার তারতম্যের জন্য তার গায়ে বরফ জমে, যা গলে জল পড়ে। ওই জল আটকাতে কন্ডেনসারের ট্রে-র সঙ্গে পাইপ লাগানো থাকে। যাতে জল গড়িয়ে কামরার নীচে পড়ে। ওই পাইপ ঠিক মতো পরিষ্কার না হলেই কামরায় জল পড়ে।