Deaths in Kolkata in Heavy rainfall

কলকাতায় দুর্যোগে মৃত্যুর দায় কার? তদন্ত ও ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাই কোর্টে নওশাদ, মামলার অনুমতি দিল ডিভিশন বেঞ্চ

কলকাতায় টানা ছ’ঘণ্টার দুর্যোগ-বৃষ্টিতে ১০ জনের প্রাণ গিয়েছে। তাঁদের মৃত্যু দায় কে নেবে, এই প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাই কোর্টে গেলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৫:০৬
Share:

কলকাতা হাই কোর্টে গেলেন নওশাদ সিদ্দিকি। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

কলকাতায় টানা ছ’ঘণ্টার দুর্যোগ-বৃষ্টিতে ১০ জনের প্রাণ গিয়েছে। তাঁদের মৃত্যুর দায় কে নেবে, এই প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাই কোর্টে গেলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।

Advertisement

বুধবার নওশাদের হয়ে তাঁর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম মামলা দায়ের করতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। মৃতদের ক্ষতিপূরণ এবং তদন্ত চেয়ে মামলা দায়ের করতে চেয়েছেন তাঁরা। নওশাদের আইনজীবীর বক্তব্য, বিষয়টির যথাযথ ভাবে তদন্ত হোক। কয়েক দিনের মধ্যেই পুজোর ছুটি পড়ে যাবে। তখন কোর্ট বন্ধ থাকবে। তাই দ্রুত মামলাটির শুনানি শুরু হোক।

বিচারপতি সুজয় পাল এবং বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চ মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে। হাই কোর্ট সূত্রে খবর, চলতি সপ্তাহেই মামলা শুনতে পারে আদালত।

Advertisement

অতি প্রবল বৃষ্টিতে বানভাসি কলকাতাতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে আট জনের। এ ছাড়াও, দক্ষিণ শহরতলির বিষ্ণুপুর ও নরেন্দ্রপুরে আরও দুই যুবক মারা গিয়েছেন। সরকারি সূত্রের খবর, সব মিলিয়ে রাজ্যে ১০ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানায় তাঁরা হলেন, পবন ঘরামি (৩৪), জিতেন্দ্র সিংহ (৬০), ফিরোজ আলি খান (৫০), রামগোপাল পণ্ডিত (৫৩), প্রাণতোষ কুন্ডু (৬২), সুনীল সূর্য (৩৫), শুভ প্রামাণিক (২৫), সন্দীপ গুহঠাকুরতা (৬০)। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে জখম হয়েছেন মুমতাজ বিবি নামে এক বৃদ্ধাও। বিষ্ণুপুরে মৃত যুবকের নাম সঞ্জিত ঘড়ুই (২২)। সন্ধ্যায় নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায় মারা গিয়েছেন ইন্দ্রজিৎ বর্মণ (৩৪)।

এই মৃত্যুর দায় কার, সে প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা সিইএসসি-র দিকেই কার্যত আঙুল তুলেছেন। সিইএসসি-কে মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং চাকরি দিতেও বলেছেন তিনি। মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তদন্ত করা হবে— সিইএসসি এ কথা জানানোর পাশাপাশি বলেছে যে, সিগন্যাল কিয়স্ক এবং বিদ্যুতের খুঁটির রক্ষণাবেক্ষণ তারা করে না। সিইএসসি-র এগ্জ়িকিউটিভ ডিরেক্টর অভিজিৎ ঘোষ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর কথাকে সম্মান দিয়ে বলছি, ক্ষতিপূরণ বা চাকরির ক্ষেত্রে সিইএসসি যা করার করবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement