মমতার ছবি সরিয়ে অমিত শাহের ছবি বসালো কারা, খুঁজছে তৃণমূল

কে বদলাল ছবি? সেই ‘অপরাধী’-কে খুঁজতে এখন সিসি ক্যামেরাই ভরসা বরাহনগরের তৃণমূল নেতৃত্বের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:০০
Share:

বিতর্ক: বরাহনগরের সেই ব্যানার। নিজস্ব চিত্র

কে বদলাল ছবি? সেই ‘অপরাধী’-কে খুঁজতে এখন সিসি ক্যামেরাই ভরসা বরাহনগরের তৃণমূল নেতৃত্বের।

Advertisement

বনহুগলিতে বি টি রোডের ডিভাইডারের উপরে অমিত শাহের বড় একটি ছবির নীচে ‘সৌজন্যে বরাহনগর তৃণমূল কংগ্রেস’ লেখা ব্যানার দেখে শুক্রবার সকাল থেকেই এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। বিজেপি সভাপতির ছবির নীচে তৃণমূলের নাম কী ভাবে এল, তা নিয়ে তৈরি হয় নানা জল্পনা। শেষে খবর পেয়ে কর্মীদের পাঠিয়ে তৃণমূলের নাম লেখা ব্যানারটি খুলে দেন পুরসভার চেয়ারপার্সন।

কিন্তু তৃণমূলের নাম লেখা ব্যানারের উপর থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সরিয়ে অমিত শাহের ছবি কে বা কারা লাগাল, তারই খোঁজে নেমেছেন শাসক দলের আঞ্চলিক নেতৃত্ব। বরাহনগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিকের অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরাই অমিত শাহের ছবি লাগানোর পরে ইচ্ছাকৃত ভাবে তৃণমূলের ব্যানারটি রেখে দিয়েছেন। তিনি জানান, এলাকার বিধায়ক-সহ শীর্ষ নেতৃত্বকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। বরাহনগর থানাতেও একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে।

Advertisement

বনহুগলি মোড়ে বেশ কয়েকটি সিসি ক্যামেরা রয়েছে। সেখানে বি টি রোডের যে ছবি ধরা পড়ে, তা পুরসভা ও পুলিশ দেখতে পায়। কিন্তু শনিবার পুরসভা বন্ধ থাকায় তা সম্ভব হয়নি বলে জানান অপর্ণাদেবী। স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী তাপস রায় বলেন, ‘‘এটা অভব্যতা ও অসভ্যতা। পুলিশের কর্তাদের

বলেছি, সিসি ক্যামেরা পরীক্ষা করে দেখা হোক। যে বা যারা এমন কাজের সঙ্গে যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। দলীয় কর্মীদেরও নির্দেশ দিয়েছি, বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে।’’

বিজেপি-র কলকাতা উত্তর শহরতলি জেলা সভাপতি মানস ভট্টাচার্য

বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারকে আমরা সম্মান করি। বিরোধিতা থাকতেই পারে, তা বলে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি

সরিয়ে অন্য কিছু লাগানোর মতো মানসিকতা আমাদের নেই। পুলিশ-প্রশাসন ওঁদের সঙ্গে আছে। তাই সিসি ক্যামেরাই হোক বা বাইনোকুলার— সব কিছু দিয়েই ওঁরা অনুসন্ধান

করতে পারেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement