বধূর ঝুলন্ত দেহ, ধৃত স্বামী

পুলিশ সূত্রের খবর, বরাহনগরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বনহুগলির রায়মোহন ব্যানার্জী লেনের ফ্ল্যাটে স্ত্রী এবং ছেলের সঙ্গে থাকেন চন্দন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০১৮ ০২:৩৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

বিয়ের পর থেকে স্বামী নিগ্রহ করতেন, এমন অভিযোগ ছিল স্ত্রীর। কিন্তু পুলিশের কাছে যেতে চাইতেন না বরাহনগরের দীপা দাস। সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হল সেই গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ। আটত্রিশ বছরের দীপার পরিজনেদের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর স্বামী চন্দন দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চন্দনের বাবা-মা সহ তিন বোন, দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার ব্যারাকপুরের ডেপুটি কমিশনার (জোন ২) আনন্দ রায় বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে বাকিদের খোঁজ চলছে। পুরো বিষয় তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, বরাহনগরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বনহুগলির রায়মোহন ব্যানার্জী লেনের ফ্ল্যাটে স্ত্রী এবং ছেলের সঙ্গে থাকেন চন্দন। তিনি স্থানীয় একটি বারে বাউন্সারের কাজ করেন। চন্দনের দাবি, সোমবার সন্ধ্যায় তিনি দোকানে গিয়েছিলেন। ছেলে টিউশন থেকে ফিরে ফোনে জানায়, ঘরে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দীপার দেহ ঝুলছে। এর পরে তিনি বরাহনগর নেতাজি কলোনিতে স্ত্রীর বাপের বাড়িতে খবর দেন।

দীপার বোন অনীতা চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘দিদি নিজে থেকে এমন কাণ্ড ঘটাতে পারেন না। ওঁকে খুন করা হয়েছে।’’ অনীতা জানিয়েছেন, খবর পেয়ে তাঁরা গিয়ে দেখেছিলেন, গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পা দু’টি মেঝেতে ঠেকে রয়েছে দীপার। হাত গলার কাছে মুঠো করা। দীপার দাদা সঞ্জয় সেন জানান, ২০০৩ সালে চন্দন ও দীপার বিয়ে হয়। অভিযোগ, বিয়ের উপহার হিসেবে অনিতার দেওয়া মোবাইলের জন্য বৌভাতের রাতেই স্ত্রীকে মারধর করেন চন্দন। বিভিন্ন সময়ে পণের জন্য স্ত্রীর উপরে অত্যাচার করতেন চন্দন। সঞ্জয়ের দাবি, ‘‘বোন নিজের জমানো টাকা দিয়ে তা কিনে নিয়ে গিয়ে বলত আমরা দিয়েছি।’’ এ দিন সঞ্জয়দের বাড়িতে যান বরাহনগরের চেয়ারম্যান পারিষদ দিলীপ নারায়ণ বসু। তিনি বলেন, ‘‘কয়েক দিন আগে চন্দন এ বাড়িতে এসে দীপা ও তাঁর মা মানসীদেবীকে মারধর করেন। তখন ওঁকে বুঝিয়ে ছিলাম। কথা দিয়েছিলেন যে, স্ত্রীকে মারবেন না।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন