আপনার কোলে ফিডিং বোতল দিয়ে দুধ খাবে বাঘের বাচ্চা

বাঘের গলা ধরে আদর করতে চান? ফিডিং বোতল দিয়ে বাঘকে দুধ খাওয়াতে চান? তাইল্যান্ড যেতে হবে না। অপেক্ষা করুন। কলকাতা শহরে বসেই সেই সুযোগ পাবেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:০০
Share:

বাঘের গলা ধরে আদর করতে চান? ফিডিং বোতল দিয়ে বাঘকে দুধ খাওয়াতে চান? তাইল্যান্ড যেতে হবে না। অপেক্ষা করুন।

Advertisement

কলকাতা শহরে বসেই সেই সুযোগ পাবেন। বলেছেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পরিবেশ ও আবাসনমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সল্টলেকে পরিবেশ দফতরের এক নতুন ভবন দ্বারোদ্ঘাটন করেন শোভনবাবু। পরে তিনি জানান, এমন এক পার্ক তৈরি করা হবে যেখানে বাঘ, সিংহ-সহ আরও নানা প্রাণী কে পোষ্য করে তুলে মানুষের হাতের নাগালে দেওয়া হবে। যে কেউ ইচ্ছে করলে ওই সব ‘হিংস্র’ প্রাণীকেও আদর করতে পারবেন। নিজে হাতে খাবার খাওয়াতে পারবেন। এ দেশে তা নেই ঠিকই, তবে সিঙ্গাপুর, তাইল্যান্ডে এমন পার্ক পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়। তা দেখেই এ রাজ্যেও এই ধরনের পার্ক গড়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সেই ইচ্ছে পূরণে এ বার তৎপর রাজ্যের পরিবেশ দফতর। শোভনবাবু বলেন, ‘‘পূর্ব কলকাতার জলাভূমির সব রকমের বৈশিষ্ট্য বজায় রেখেই প্রায় ৪৫০ একর জমি ঘিরে সিঙ্গাপুরের ইকোলজিক্যাল জু-এর ধাঁচে একটি প্রকল্প গড়ে তুলবে রাজ্য সরকার।’’ তিনি জানান, ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের ধারে পরমা থেকে ক্যাপ্টেন ভেড়ি পর্যন্ত এলাকায় পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে এই ধরনের প্রকল্প কার্যকর করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।

সল্টলেকের এলবি ব্লকে গো সম্পদ ভবনের ৬ তলায় পরিবেশ দফতরের নতুন ভবন শুরু হল। সেখানে ছিলেন পরিবেশ সচিব অর্ণব রায়, রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র প্রমুখ।

Advertisement

২০১৬ সালে দফতরের দায়িত্ব নেওয়ার পর জুন মাসে পরিবেশ দিবসে প্রথম ঢুকেই শোভনবাবু শহরে সিএনজি চালিত গাড়ি চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এ দিনের অনুষ্ঠানে তিনি সেই প্রসঙ্গ তুলে জানান, গত ২৭ জানুয়ারি খাদ্যসাথীর উৎসবে মুখ্যমন্ত্রী সিএনজি চালিত কয়েকটি বাসের উদ্বোধন করেন। শহরে ওই ধরনের যানবাহনের সংখ্যা যে বাড়ানো দরকার তাও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রীও। শোভনবাবু জানান, সিএনজি সরবরাহ না বাড়লে এখনই তা করা যাবে না এটা ঠিকই। তবে সিএনজি প্রস্তুতকারক তেল সংস্থার সঙ্গে খুব শীঘ্রই পরিবেশ দফতর কথা বলবে।

পরিবেশ দফতর সূত্রের খবর, কলকাতার মতো শহরে যে ভাবে প্রতিনিয়ত দূষণ ছড়াচ্ছে, তাতে এখন থেকেই দূষণরোধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। যার অন্যতম একটি উপায় হল সিএনজি ব্যবহৃত যানবাহন। তা উপলব্ধি করেই শোভনবাবু বলেন, রাজ্যে সিএনজি সরবরাহ বাড়াতে দিল্লি-সহ অন্য রাজ্য থেকে সিএনজি আমদানি করা দরকার। সে ক্ষেত্রে সিলিন্ডার কিংবা পাইপলাইনের মাধ্যমে কী ভাবে এই গ্যাস কলকাতায় আনা যাবে তা নিয়ে পরিবেশ দফতরের অফিসারেরা সিএনজি প্রস্তুতকারক সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানান তিনি।

পরিবেশ মন্ত্রী জানান, আগে বিধাননগর পুরভবনে পরিবেশ দফতরের কয়েকটি শাখা ছিল। কিন্তু সেখানে স্থান সংকুলান হচ্ছিল না। পরিবেশ ভবনের কাছেই এই নতুন ভবন হওয়ায় দফতরগুলির মধ্যে আরও বেশি সমন্বয় বাড়ানো সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।

এর সঙ্গে শহরের ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে ফের তাঁর সতর্কবাণী, রাস্তার ধারে যাঁরা ব্যবসা করেন, তাঁরা কেউ যেন দোকানের আর্বজনা রাস্তায় বা নর্দমায় ফেলবেন না। প্রতিটি এলাকায় ডাস্টবিন দেওয়া হবে সেখানে আর্বজনা ফেলুন। এর পরেও ব্যবসায়ীরা রাস্তায় আবর্জনা ফেললে প্রশাসন আইনানুগ পদক্ষেপ করতে পিছপা হবে না বলে সতর্কও করে দেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement