মৃত প্রৌঢ়া আভা সাহা এবং ধৃত বাপী দাস। —নিজস্ব চিত্র।
ষষ্ঠীর দিনে জোড়া খুন শহরে। প্রথম খবর পাওয়া যায় বেলেঘাটায়। সেখানে এক প্রৌঢ়াকে খুন করা হয়। আর তারপর লেদার কমপ্লেক্স এলাকা থেকে এক তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে বেলেঘাটায়। গয়না চুরিতে বাধা দেওয়ায় বেলেঘাটায় শ্বাসরোধ করে খুন করা হল এক প্রৌঢ়াকে। সোমবার ভোর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বেলেঘাটার গগন সরকার রোডে। পুলিশ অভিযুক্ত বাপী দাসকে গ্রেফতার করেছে। এলাকায় সে জরুল বাপী বলেও পরিচিত।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম আভা সাহা (৫৬)। এ দিন ভোর তিনটে নাগাদ তাঁর বাড়িতেই চোর ঢোকে। চোর তাঁর পূর্ব পরিচিত। ফলে ঘুম ভেঙে তাকে চিনতে পেরে যান তিনি। চিৎকার জুড়ে দেন তিনি।
নিজেকে বাঁচাতে ওই যুবক প্রৌঢ়ার মুখ চেপে ধরে। শ্বাসরোধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এর পর ওই যুবক পালাতে গেলে এলাকাবাসীরা তাকে ধরে ফেলেন।
আরও পড়ুন: ‘প্রতিবাদ না করলে ফের অসভ্যতার শিকার হতে হত’
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত যুবক পেশায় কলের মিস্ত্রি। কিছু দিন আগে প্রৌঢ়ার বাড়িতে কলের কাজ করেছিল সে। জানা গিয়েছে, প্রৌঢ়া ভীষণ গয়না পরতে পছন্দ করতেন। সব সময় গায়ে অনেক গয়না পরে থাকতেন। সে সব ধৃতের নজরে পড়েছিল। তার উপর প্রৌঢ়ার কথাবার্তাতেও বুঝেছিলেন পুজোর সময় বাড়িতে আরও অনেক সোনার গয়না আনা হতে পারে। সে জন্যই ওই বাড়িতে চুরি করতে ঢুকেছিল সে।
এই বাড়িতেই খুন হয়েছেন প্রৌঢ়া
এরপর কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থেকে একটি মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশের অনুমান, তাঁর বয়স ১৮ থেকে ১৯ বছর হবে। সম্ভবত বাইরে খুন করে এই এলাকায় মৃতদেহ ফেলে গিয়েছে বলে পুলিশের অনুমান।