মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, ছাত্র সংসদের খরচের টাকা নিয়ে কলেজে কলেজে গোলমাল। তা বন্ধে উপায় ঠিক করেছে যোগেশচন্দ্র চৌধুরী আইন কলেজের ছাত্র সংসদ।
কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নিয়ন্ত্রিত ছাত্র সংসদ ঠিক করেছে, প্রতি বছর তাদের আর্থিক তহবিলের অডিট হবে। সেই তথ্য সকলকে জানানো হবে। পাশাপাশি, ছাত্র সংসদের প্রতিটি অনুষ্ঠানের খরচের হিসেব রাখা হবে বছরভর। কলেজের টিএমসিপি ইউনিটের সভাপতি অর্ক নাগ জানিয়েছেন, আজ, শুক্রবার ছাত্র সংসদের ফিনান্স সাব কমিটিতে বিষয়টি অনুমোদিত হবে।
এ দিন টিভি চ্যানেলের এক সাক্ষাৎকারে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ছাত্র সংসদের তিন-চারটে কাজ থাকে। নবাগতদের স্বাগত জানানো, ‘সোশ্যাল’ করা এবং সরস্বতী পুজো।’’ তিনি বলেন, ‘‘এই তিনটের জন্য ওরা টাকাও পায়। সে টাকাটা কে খরচ করবে, সেই নিয়ে গোলমাল হয়।’’
মাসখানেক আগে জয়পুরিয়া কলেজের অশান্তির পিছনে মূল কারণ ছিল ছাত্র সংসদের তহবিলের দখল। কিছু দিন আগে চারুচন্দ্র কলেজের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছাত্র সংসদ কত খরচ করতে পারবে তা নিয়ে শুরু হয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চাপান উতোর।
এ বার ছাত্র সংসদের আয়-ব্যয়ে স্বচ্ছতা আনতে উদ্যোগী যোগেশচন্দ্র চৌধুরী আইন কলেজের ছাত্র সংসদ। কলেজের টিএমসিপি ইউনিটের ছাত্র সংসদের সভাপতি অর্কবাবু বলেন, ‘‘ছাত্রদের মধ্যে শৃঙ্খলা আনাই আমাদের উদ্দেশ্য। ছাত্র সংসদের তহবিল নিয়ে কলেজে কলেজে বিতর্ক। আমরা এর ঊধের্ব উঠতে চাই।’’
প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেই এই কলেজের ছাত্র সংসদ কলেজের মধ্যে দলবাজির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছে। ছাত্র সংসদের সিদ্ধান্ত ছিল লাগানো যাবে না দলীয় পোস্টার, পতাকা। দেওয়া যাবে না স্লোগান। কলেজের মধ্যে অশান্তি, ভাঙচুর যদি কোনও ক্লাস প্রতিনিধি করেন তাহলে তার পদ খোয়া যাবে। জরিমানাও করা হবে। এ বার ছাত্র সংসদের খরচের বিষয়েও স্বচ্ছতা আনতে চায় ছাত্র সংসদ।