রিপোর্টে গরমিল, অভিযুক্ত ক্লিনিক

অভিযোগকারীর তরফে আইনজীবী রাজদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছিল। কিন্তু তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য উঠে আসে। তার ভিত্তিতেই পুলিশ অনিচ্ছাকৃত মৃত্যু ঘটানোর ধারা যুক্ত করতে আদালতে আবেদন জানায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০১৭ ০০:৩৯
Share:

প্রতীকী ছবি

এক রোগীর মৃত্যুর পরে সল্টলেকের একটি ক্লিনিকের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। তার ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। সূত্রের খবর, ক্লিনিকের তরফে ডেথ সার্টিফিকেটে লেখা হয়েছিল, হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। অথচ ময়না-তদন্তে তাঁর মৃত্যুর কারণ হিসেবে মস্তিষ্কে ক্ষতর উল্লেখ রয়েছে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ওই রোগীর হাতেও ছড়ে যাওয়ার একাধিক চিহ্ন মিলেছে। এর পরেই পুলিশ ওই ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত মৃত্যু ঘটানোর ধারা যুক্ত করতে আদালতে আবেদন জানায়।

Advertisement

সূত্রের খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা ওই যুবক এপ্রিলে অবসাদের চিকিৎসা করাতে সল্টলেকের ওই ক্লিনিকে ভর্তি হন। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, ভর্তির পর থেকে রোগীর সঙ্গে তাঁদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি। মৃত্যুর আগের দিনও চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, রোগী ভাল আছেন। ২০ মে রোগীকে দেখতে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর পরিবারের। অথচ সে দিনই সকালে তাঁদের ফোন করে জানানো হয়, রোগী মারা গিয়েছেন।

অভিযোগকারীর তরফে আইনজীবী রাজদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছিল। কিন্তু তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য উঠে আসে। তার ভিত্তিতেই পুলিশ অনিচ্ছাকৃত মৃত্যু ঘটানোর ধারা যুক্ত করতে আদালতে আবেদন জানায়। যদিও ওই রোগীর মৃত্যু নিয়ে তোলা অভিযোগ প্রসঙ্গে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের তরফে প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ক্লিনিকে ওই রোগীর যে চিকিৎসা হয়েছে, তার নথি সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলি স্বাস্থ্য দফতরে পাঠানোও হয়েছে। পুলিশ জানায়, ময়না-তদন্তের রিপোর্ট এবং ক্লিনিকের ডেথ সার্টিফিকেটের তথ্যে মিল না থাকায় ওই যুবক হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিধাননগর পুলিশের এক কর্তা জানান, তদন্তে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। সে সব যাচাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন