সোনা লুঠের গল্প ফেঁদে শ্রীঘরে ঠাঁই যুবকের

গল্প ফেঁদে সোনার বার লুঠের অভিযোগ করেছিল এক যুবক। সেটাই কাল হল। মিথ্যা অভিযোগ কবুল করে অবশেষে শ্রীঘরে ঠাঁই হয়েছে অভিযোগকারীর বন্ধুর। আটক করা হয়েছে অভিযোগকারীকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭ ০১:২০
Share:

উদ্ধার হওয়া সোনার বার। —নিজস্ব চিত্র।

পুলিশের জালে এ বার খোদ অভিযোগকারী!

Advertisement

গল্প ফেঁদে সোনার বার লুঠের অভিযোগ করেছিল এক যুবক। সেটাই কাল হল। মিথ্যা অভিযোগ কবুল করে অবশেষে শ্রীঘরে ঠাঁই হয়েছে অভিযোগকারীর বন্ধুর। আটক করা হয়েছে অভিযোগকারীকে।

পুলিশ সূত্রের খবর, রবীন্দ্র সরণি এলাকার একটি সোনার দোকানের কর্মী ভানি সিংহ নামে এক যুবক শনিবার রাতে জোড়াসাঁকো থানায় অভিযোগে জানায়, সন্ধ্যায় এক যুবক দোকানে এসে জল চাওয়ার নামে তার মুখে ক্লোরোফর্ম দিয়ে পালায়। জ্ঞান ফিরলে ভানি দেখে, ন’কেজি সোনার বার উধাও। যার আনুমানিক দাম আড়াই কোটি টাকা।

Advertisement

ভানির বক্তব্যে অসঙ্গতি পেয়ে রাতেই জোড়াসাঁকো থানার পুলিশ আটক করে তাকে। লালবাজারের ডাকাতি দমন শাখার গোয়েন্দাদের একটানা জেরায় ভেঙে পড়ে সে কবুল করে, সে এবং তার বন্ধু মহিন্দর সিংহ মিলে মিথ্যা গল্প ফেঁদে সোনার বার গায়েব করেছে। রবিবার সকালে হাওড়া থেকে মহিন্দরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেখান থেকে সোনার বার ছাড়াও উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা।

তদন্তকারীরা জানান, চেন্নাইয়ের এক ব্যবসায়ী সম্প্রতি রবীন্দ্র সরণি এলাকায় একটি সোনার দোকান খুলেছিলেন। রাজস্থানের বাসিন্দা ভানি সেই দোকানেরই কর্মচারী। পুলিশ জানিয়েছে, সোনা হাতাতেই মিথ্যা লুঠের গল্প ফেঁদেছিল দুই বন্ধু। পুলিশ ভানিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

লালবাজারের এক কর্তা বলেন, ‘‘তদন্ত শুরু হয়েছে। ভানিকে আটক করে এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন