Nude Photograph

পেন ড্রাইভে বারোশো মহিলার অশালীন ছবি! অভিযুক্ত বেহালার যুবক

শুধু আপনি নন। আপনার আশেপাশের কয়েকশো বিভিন্ন বয়সের মহিলার এরকম ছবি তুলে পেনড্রাইভে রাখত তিরিশ বছরের কৃশানু বিশ্বাস। কখনও কারও বাথরুমের ছবি। কখনও বা নিছক রাস্তায় হেঁটে যাওয়ার ছবি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০১৮ ১৬:৪১
Share:

অভিযুক্ত কৃশানু

নিজের বাড়ির উঠোনে আপনি হয়ত কাজ করছেন। পাঁচিল ঘেরা বাড়ি। ঘরোয়া পোশাকেই আপনি রয়েছেন। ঘুণাক্ষরেও টের পেলেন না,আপনার সেই ঘরোয়া পোশাক পরা অবস্থায় সবার অলক্ষে কেউ আপনাকে লেন্স বন্দি করছে। অথবা কেউ নিজের বাথরুমে। সেখানেও লুকোনো ক্যামেরায় আপনার ছবি তুলছে কেউ। তারপর সেই ছবি রেখে দিচ্ছে নিজের পেনড্রাইভে।

Advertisement

শুধু আপনি নন। আপনার আশেপাশের কয়েকশো বিভিন্ন বয়সের মহিলার এরকম ছবি তুলে পেনড্রাইভে রাখত তিরিশ বছরের কৃশানু বিশ্বাস। কখনও কারও বাথরুমের ছবি। কখনও বা নিছক রাস্তায় হেঁটে যাওয়ার ছবি। বারোশোর বেশি এরকম ছবির হদিশ মিলেছে কৃশানুর কাছে। দীর্ঘ অনেক বছর ধরে এই কাজ করলেও কেউ কোনও দিন বুঝতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত পেনড্রাইভ হারিয়ে ধরা পড়ে গেল গুণধর এই কৃশানু।

পর্ণশ্রীর অক্ষয় পাল রোডের বাসিন্দা কৃশানু একটি কেন্দ্রীয় সরকারি দফতরে কাজ করে। কয়েক দিন আগে তার অফিসেরই এক সহকর্মী একটি পেনড্রাইভ খুঁজে পান। সেটা কার জানতে, সেই পেনড্রাইভ কম্পিউটারে লাগাতেই একটি ফোল্ডারের হদিশ পাওয়া যায়। সেই ফোল্ডার খুলতেই বেরিয়ে একের পর এক মহিলার ছবি। প্রথমে তার সহকর্মীরা বিষয়টি বুঝতে না পারলেও অন্য এক মহিলা সহকর্মী রহস্যর পর্দা ফাঁস করেন। তিনি ওই ছবির মধ্যে কয়েকজন পরিচিত মহিলাকে শনাক্ত করেন যাঁরা কৃশানুর প্রতিবেশী। সেই মহিলা সহকর্মীর মাধ্যমেই খবর এবং সেই পেনড্রাইভ পৌঁছয় কৃশানুর প্রতিবেশী প্রীতম শূরের কাছে। তিনি বলেন, “পেন ড্রাইভ খুলে আমরা রীতিমতো হতবাক। এই পাড়া, পাশের পাড়ার হেন কোনও মহিলা নেই যার ছবি নেই এই পেন ড্রাইভে। কেউ বাড়ির পোশাকে, কেউ বাথরুমে— সেই অবস্থায় এই ছবি তোলা হয়েছে। লুকিয়ে নিজের আত্মীয়দেরও প্রায় নগ্ন ছবি তুলেছে কৃশানু।”

Advertisement

আরও পড়ুন, সাত মাসের শিশুকে নিয়ে গঙ্গায় ঝাঁপ তরুণীর

গোটা বিষয়টি জানাজানি হতেই পর্ণশ্রী থানায় কৃশানুর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান পাড়ার লোকজন। অবস্থা বেগতিক দেখে গা-ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত যুবক। তাকে না পেয়ে তার বাড়িতে চড়াও হয় এলাকার মানুষ। যদিও অভিযুক্তের বাবা-মার দাবি তাঁদের ছেলে নির্দোষ।


কৃশানুকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ প্রতিবেশীদের।

তদন্তকারীরা কৃশানুর খোঁজ চালানোর সঙ্গে সঙ্গে বাজেয়াপ্ত করেছে ওই পেনড্রাইভও। শুধু মোবাইল ক্যামেরা না অন্য কোনও ক্যামেরা ব্যবহার করে সে ওই ছবি তুলেছে সেটা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এক তদন্তকারী বলেন, “অভিযুক্ত এই সব ছবি নিজের পেন ড্রাইভে রাখত,না এই ছবি বিভিন্ন পর্নোগ্রাফিক ওয়েবসাইটে ব্যবহার করত, সেটা জানা এখন বেশি প্রয়োজন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন