টাকা ফেরত পেতেই অপহরণ, দাবি ধৃতদের

জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে, প্রশান্ত আগে বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থার এজেন্ট ছিলেন। সুমন তাঁর কাছে তিন লক্ষ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করতে দিয়েছিলেন। সেই টাকার কোনও রসিদ সুমনকে দেওয়া হয়নি। টাকাও ফেরত পাওয়া যায়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৮ ০১:২৩
Share:

পাওনা টাকা আদায়ের জন্যই সার্ভে পার্কে ডেকে এনে প্রশান্ত মণ্ডল নামে এক যুবককে অপহরণ করে মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিল। অপহরণের ঘটনায় ধৃত সুদীপ্ত জানা ও সুমন জানাকে টানা জেরা করে শুক্রবার এমনটাই জানা গিয়েছে বলে দাবি পুলিশের।

Advertisement

পুলিশ জানায়, ১৪ নভেম্বর সার্ভে পার্কের একটি ফ্ল্যাটে নতুন ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করার টোপ দিয়ে সুমন তার পূর্ব পরিচিত প্রশান্তকে ডেকে পাঠিয়েছিল। তখন প্রশান্ত নিজের ব্যবসার সঙ্গী প্রদীপকে সঙ্গে নিয়ে যান। তাঁদের একটি ফ্ল্যাটে ডেকে গিয়ে কুকুরের ভয় দেখিয়ে আটকে রাখা হয়। প্রশান্তের কাছে এর পরে তিন লক্ষ টাকা চাওয়া হয়। তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করায় মারধর করে এটিএম কার্ড কেড়ে নেয় সুমন ও তার সঙ্গী সুদীপ্ত। সেই এটিএম ব্যবহার করে কয়েক হাজার টাকা তুলে নেয় অভিযুক্তেরা। প্রশান্ত তাঁর বন্ধু প্রদীপকে ওই ফ্ল্যাটে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই যুবককেও আটকে রাখে অভিযুক্তেরা। সুমনের ফোন পেয়ে প্রশান্তর স্ত্রী পরের দিন তার হাতে ৮৫ হাজার টাকা দিয়ে আসেন। সেই টাকা পেয়ে ১৬ নভেম্বর সুমনেরা প্রশান্তকে পৈলানে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দেয়। পরে ছাড়া হয় প্রদীপকে।

তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে, প্রশান্ত আগে বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থার এজেন্ট ছিলেন। সুমন তাঁর কাছে তিন লক্ষ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করতে দিয়েছিলেন। সেই টাকার কোনও রসিদ সুমনকে দেওয়া হয়নি। টাকাও ফেরত পাওয়া যায়নি। সেই কারণে নতুন ব্যবসা করার ছক কষে সুমন ফ্ল্যাটে ডেকে আনে প্রশান্তকে। পুলিশের দাবি, প্রদীপও সুমনের পূর্ব পরিচিত। পুলিশের অভিযোগ, অপহরণের পরিকল্পনায় প্রদীপও জড়িত ছিল। অভিযোগ দায়েরের পর থেকেই সে ফেরার।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন