মাঠে উদ্ধার যুবকের মৃতদেহ

এক যুবকের নলি কাটা দেহ উদ্ধার হয়েছে। বুধবার, দক্ষিণ বন্দর থানা এলাকার রিমাউন্ট রোডের একটি মাঠে। পুলিশ জানায়, ভোের মাঠে ফুটবল খেলতে গিয়ে স্থানীয়েরা দেখতে পান মাঠের এক কোণে পড়ে ওই যুবকের দেহ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৬ ০১:০২
Share:

দীপক মাহাতো

এক যুবকের নলি কাটা দেহ উদ্ধার হয়েছে। বুধবার, দক্ষিণ বন্দর থানা এলাকার রিমাউন্ট রোডের একটি মাঠে। পুলিশ জানায়, ভোের মাঠে ফুটবল খেলতে গিয়ে স্থানীয়েরা দেখতে পান মাঠের এক কোণে পড়ে ওই যুবকের দেহ। মৃত এই যুবকের নাম দীপক মাহাতো (৩৩)।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের দু’হাতের শিরাও কাটা ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, দীপকের বাবা পুলিশের কাছে খুনের অভিযোগ করায় পুলিশ একটি খুনের মামলা শুরু করেছে। কিন্তু পুলিশের অনুমান, দীপক আত্মহত্যা করেছেন। এমনকী, তাঁর কাছে একটি সুইসাইড নোটও মিলেছে বলে জানায় পুলিশ। সিগারেটের প্যাকেটের রাংতায় লেখা ছিল, যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে তিনি অনেক দিন ধরে কষ্ট পাচ্ছেন। পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে একটি ব্লেডও মিলেছে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, রিমাউন্ট রোডে কাঁটাপুকুর মর্গের পাশের মাঠে দীপকের দেহ এ ভাবে পড়ে থাকতে দেখে ক্ষোভ উগরে দেন বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, ওই মাঠে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজকর্মের বিষয়ে পুলিশকে জানানো হলেও, কোনও ব্যবস্থা নেয়ওয়া হয়নি। মৃতের বাবার মতোই প্রতিবেশীদেরও সন্দেহ, খুন করা হয়েছে দীপককে। তাঁদের একাংশের দাবি, ওই মাঠে কোনও অপরাধমূলক ঘটনা দেখে ফেলার জন্যই দীপককে খুন হতে হয়েছে। এই ক্ষোভের ফলেই এ দিন সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধায় দীপকের মৃতদেহ প্রায় দু’ঘণ্টা তুলতে পারেনি।

Advertisement

সূত্রের খবর, দীপকের বাড়ি ওই মাঠের কাছেই ময়ূরভঞ্জ রোডে। এ দিন তাঁর বাড়িতে গেলে দীপকের বাবা বিশ্বনাথ মাহাতো জানান, চা ও খাবারের একটি দোকান রয়েছে তাঁর। কখনও বাড়িতে, কখনও ওই দোকানেই রাতে থাকতেন দীপক। বিশ্বনাথবাবুর কথায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছ’টার পর থেকে দীপককে এলাকায় দেখা যায়নি। তিনি বলেন, ‘‘এ দিন ভোরে সবে দোকান খুলেছি। সেই সময়ে পাড়ার ছেলেরা খবর দেয়, আমার ছেলের দেহ কাছেই মাঠে পড়ে রয়েছে।’’ দীপকের স্ত্রী, পাঁচ বছরের মেয়ে এবং দু’বছরের ছেলে রয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, দীপক এক সময়ে তাঁর বাড়ির পাশেই একটি বুটিকে এমব্রয়ডারির কাজ করতেন। দু’মাস আগে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হওয়ার পরে ওই কাজ ছেড়ে দেন তিনি। ইদানীং নিজেই বাড়িতে এমব্রয়ডারি শুরু করেছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন