অবহেলায় সরকারি বাসের জীর্ণ দশা

কোথাও জানালার ভাঙা কাচ। কোথাও বা সিটের কাঠামোটুকু রয়েছে, উধাও হয়ে গিয়েছে বসার গদি। বাসের বাইরেটা দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে। জনরোষ বা বিক্ষোভে পড়ে নয়, সাধারণ ভাবে এমন চেহারা কলকাতার সরকারি বাসের। পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, রক্ষণাবেক্ষণে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেই। খারাপ হলে কোনও মতে শুধু চালানোর ব্যবস্থাটুকু হচ্ছে। কলকাতা রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম (সিএসটিসি)-র এক কর্তা বলেন, “শুধু ঝাঁ-চকচকে থাকার কারণে বেসরকারি বাসগুলিতে ভিড় বেশি হয়।”

Advertisement

সুপ্রিয় তরফদার

শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:০০
Share:

পরিচিত ছবি। নিজস্ব চিত্র

কোথাও জানালার ভাঙা কাচ। কোথাও বা সিটের কাঠামোটুকু রয়েছে, উধাও হয়ে গিয়েছে বসার গদি। বাসের বাইরেটা দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে। জনরোষ বা বিক্ষোভে পড়ে নয়, সাধারণ ভাবে এমন চেহারা কলকাতার সরকারি বাসের।

Advertisement

পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, রক্ষণাবেক্ষণে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেই। খারাপ হলে কোনও মতে শুধু চালানোর ব্যবস্থাটুকু হচ্ছে। কলকাতা রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম (সিএসটিসি)-র এক কর্তা বলেন, “শুধু ঝাঁ-চকচকে থাকার কারণে বেসরকারি বাসগুলিতে ভিড় বেশি হয়।”

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বাসযাত্রী সমিতি-র সভাপতি ধনঞ্জয় দত্ত বলেন, “বাসের অবস্থা, যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য, যাত্রী সুরক্ষা কার্যত নেই বললেই চলে। সরকারি বাসের হাল ফেরানোর দাবিতে সম্প্রতি পরিবহণ সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।” তাঁদের দাবি, অবিলম্বে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের দিকে নজর দিক সরকার।”

Advertisement

পরিবহণ-কর্তারা জানান, অর্থ এবং কর্মীদের সদিচ্ছার অভাবে এই অবস্থা। এক পরিবহণ-কর্তার কথায়, “রক্ষণাবেক্ষণে সবচেয়ে পিছিয়ে সিএসটিসি এবং সিটিসি।

এর প্রধান কারণ, এখনও উপার্জনের ক্ষেত্রে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেনি সিএসটিসি। অন্য দিকে, সিটিসি-তে নতুন বাসও নেই। উপার্জনও নেই। অল্প অর্থে কোনও রকমে বাস চালানো হয়। মেরামতি সম্ভব নয়।”

পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, বাসগুলির আয়ু সাধারণত আট বছর। কিন্তু তার আগে যদি নির্ধারিত কিলোমিটার পার করে তবে ‘কনডেমনেশন কমিটি’-কে জানান হয়। সিএসটিসির এক কর্তা জানান, বাসগুলি আদৌ রাস্তায় নামানোর যোগ্য কি না পরীক্ষা করা হয়। মেরামতের মতো অবস্থায় থাকলে করা হয়। নতুবা বিক্রি করে দেওয়া হয়। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে আট বছরের আগেই বাসগুলি জীর্ণ হয়ে যাচ্ছে। কোনও রকমে জোড়া-তাপ্পি দিয়ে রাস্তায় নামানো হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন