উড়ালপুল হচ্ছে না ভোটের আগে: মন্ত্রী

মাস তিনেক আগে পোস্তায় ব্যবসায়ী সমিতির জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, ফেব্রুয়ারির মধ্যে চালু হবে বিবেকানন্দ উড়ালপুল। কিন্তু তা হয়নি। ভোটের আগে হবেও না। রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বুধবার নবান্নে জানান, কাজের সময় খুব কম পাওয়ায় ফেব্রুয়ারিতে সেতু চালু করা সম্ভব নয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পোস্তা শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০০:১৮
Share:

মাস তিনেক আগে পোস্তায় ব্যবসায়ী সমিতির জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, ফেব্রুয়ারির মধ্যে চালু হবে বিবেকানন্দ উড়ালপুল। কিন্তু তা হয়নি। ভোটের আগে হবেও না। রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বুধবার নবান্নে জানান, কাজের সময় খুব কম পাওয়ায় ফেব্রুয়ারিতে সেতু চালু করা সম্ভব নয়। ভোটের পরে তা চালু হবে।

Advertisement

হাওড়া সেতু থেকে পোস্তা হয়ে বিবেকানন্দ রোড ধরে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের মুখ পর্যন্ত ২.২ কিমি লম্বা এই উড়াপুলের কাজ শুরু হয় ২০০৯-এ। জেএনএনইউআরএম প্রকল্পে সেতুর খরচ বাবদ বরাদ্দ হয় ১৬৪ কোটি টাকা। বাম আমলে শুরু থেকেই ওই কাজ চলছিল ঢিমেতালে। পোস্তায় পাইকারি বাজার ও রাস্তার দু’পাশে পার্কিং থাকায় কাজ করতে অসুবিধায় পড়তে হয় কেএমডিএ-র ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদার সংস্থাকে। এ ছাড়া, হাওড়া থেকে কলকাতার দিকে আসা সমস্ত গাড়িকেই ওই রাস্তা ধরতে হয়। ফলে বাজার, পার্কিংয়ের পাশাপাশি সেতুর কাজ চলায় তীব্র যানজট হচ্ছিল। হয়রানি কমাতে মুখ্যমন্ত্রী ফেব্রুয়ারির মধ্যে উড়ালপুলের কাজ শেষের নির্দেশ দেন। সেই মতো পুজোর পর থেকে দ্রুতগতিতে কাজ শুরু হয়। কিন্তু কয়েকটি কারণে তা শেষ করা সম্ভব হয়নি বলে জানান পুর-কর্তৃপক্ষ।

কেএমডিএ-র এক ইঞ্জিনিয়ার জানান, পোস্তার দিকে কলকাতা বন্দরের ৬৮০ বর্গফুট জমির উপর দিয়ে যাবে উড়ালপুলটি। ওই জমির জন্য ৩ কোটি টাকা দাবি করেছেন বন্দর-কতৃর্পক্ষ। তা দিতে রাজি কেএমডিএ। টাকা দিলেই শুরু হবে কাজ। এ ছাড়া, পুরনো টাঁকশালের সামনে মাটির ৬ মিটার নীচে একটি জলাধার রয়েছে। তা ভেঙে কাজ করতে সময় লাগছে।

Advertisement

কেএমডিএ-র ওই কর্তা জানান, ওই এলাকায় পুরসভার জলের পাইপ রয়েছে। তা সরানোর জায়গা নেই। পুরসভাকে তা জানানো হয়েছে। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরে দ্রুত গতিতে কাজ শুরু হয়েছে। তবে রাতে ৭-৮ ঘণ্টা পাইকারি বাজার থেকে ট্রাকে জিনিস ওঠানো-নামানোর কাজ বন্ধ রাখায় শুধু তখনই কাজ করা যাচ্ছে। দিনে কাজ করা যাচ্ছে না। তাই দেরি হচ্ছে। তবে এ বছরের মাঝামাঝি কাজ শেষ হবে বলেই মনে করছেন ইঞ্জিনিয়ারেরা। বিষয়গুলি জানানো হয়েছে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন