গুরুত্ব বাড়ছে স্থানীয় বইমেলার

বইমেলায় দেওয়া হবে পরিবেশ সচেতনতার পাঠ। দমদম বইমেলা কমিটি এ বার এমনই ব্যবস্থা করেছে। গত তিন বছর ধরে চলছে দমদম বইমেলা। লক্ষণীয় ভাবে এই মেলায় ছোটদের ভিড় বেশি। তাদের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা বোধ আনতে এই ব্যবস্থা। থাকছে পরিবেশ সচেতনতা নিয়ে স্টল ও বিভিন্ন প্রদশর্নী। দমদম বইমেলা কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যান্য বইমেলায় শুধু বইয়ের স্টলই নয় থাকে খাবারের স্টলও। চলে নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

Advertisement

আর্যভট্ট খান

শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৪ ২৩:১৯
Share:

জোরকদমে চলছে দমদম বইমেলার প্রস্তুতি। নিজস্ব চিত্র

বইমেলায় দেওয়া হবে পরিবেশ সচেতনতার পাঠ। দমদম বইমেলা কমিটি এ বার এমনই ব্যবস্থা করেছে। গত তিন বছর ধরে চলছে দমদম বইমেলা। লক্ষণীয় ভাবে এই মেলায় ছোটদের ভিড় বেশি। তাদের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা বোধ আনতে এই ব্যবস্থা। থাকছে পরিবেশ সচেতনতা নিয়ে স্টল ও বিভিন্ন প্রদশর্নী।

Advertisement

দমদম বইমেলা কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যান্য বইমেলায় শুধু বইয়ের স্টলই নয় থাকে খাবারের স্টলও। চলে নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম দমদম বইমেলা। এখানে শুধু বইয়ের স্টলকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে। বইমেলা কমিটির এক সদস্য জানালেন, বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থা থাকছে এই মেলায়। বইয়ের সঙ্গে থাকবে পরিবেশ সচেতনতা পাঠের ব্যবস্থা। খাবারের স্টল থাকবে মাত্র একটি।

মিলনমেলা প্রাঙ্গণে ‘পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড’ আয়োজিত কলকাতা বইমেলা ছাড়াও শহরের নানা জায়গায় এখন বইমেলা হচ্ছে। সম্প্রতি বাঙ্গুরেও হয়ে গেল বইমেলা। সেখানে ভালই সাড়া মিলেছে বলে উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন। দমদমের ইন্দিরা ময়দানে দমদম বইমেলার আয়োজন করছে ‘ইন্দিরা সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’। ওই অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক মানস চট্টোপাধ্যায়ের মতে, “এলাকা ভিত্তিক বইমেলার গুরুত্ব বাড়ছে। গত চার বছর ধরে দেখতে পাচ্ছি বইমেলায় মানুষের ভিড় ক্রমশই বাড়ছে। আমাদের মেলায় এ বার স্টল সংখ্যাও বাড়ছে।” আগামী বছরের দ্বিতীয় দিনে শুরু হচ্ছে মেলা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকবেন এলাকার বিধায়ক ব্রাত্য বসু, সাংসদ সৌগত রায় প্রমুখ।

Advertisement

স্থানীয় আরও একটি বইমেলা, বাগুইআটি বইমেলা এ বার পাঁচ বছরে পা দিল। ভিআইপি রোডের ধারে জোড়া মন্দিরের ছোট মাঠে এই মেলা হয়। থাকছে ২৩টি স্টল এবং বেশ কিছু প্রকাশনা সংস্থা। বইমেলা কমিটি জানাচ্ছে, এ ছাড়াও থাকছে আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, জওহরলাল নেহরু ও শম্ভু মিত্রকে নিয়ে প্রদশর্নী। বইমেলা কমিটির এক সদস্য বলেন, “আজকের প্রজন্মের সঙ্গে আশুতোষ বা জওহরলাল নেহরুর মতো ব্যক্তিত্বের পরিচয় করানো আমাদের নৈতিক কর্তব্য। এই কাজে বইমেলাকে আমরা প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বেছে নিয়েছি।”

শীত পড়তেই শুরু হওয়া স্থানীয় বইমেলাগুলিকে স্বাগত জানাচ্ছেন পর্যটনমন্ত্রী তথা দমদম এলাকার বিধায়ক ব্রাত্য বসু। ব্রাত্যবাবু বলেন, “স্থানীয় বইমেলার খুবই গুরুত্ব রয়েছে। এর মাধ্যমে বইয়ের সঙ্গে স্থানীয় মানুষের আত্মিক যোগ তৈরি হয়। ফলে বই পড়ুয়ার সংখ্যাও বাড়ে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন