ছাত্র মৃত্যুতে খুনের মামলা, সঙ্গে ধন্দও

সল্টলেকে জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রের মৃত্যু নিয়ে ক্রমেই রহস্য দানা বাঁধছে। রবিবার সকালে মৃতের পরিবার বিধাননগর দক্ষিণ থানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসক, উপাচার্য, ওয়ার্ডেন এবং আরও কয়েক জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে। শুরু হয়েছে তদন্ত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৫ ০২:০৮
Share:

সল্টলেকে জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রের মৃত্যু নিয়ে ক্রমেই রহস্য দানা বাঁধছে। রবিবার সকালে মৃতের পরিবার বিধাননগর দক্ষিণ থানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসক, উপাচার্য, ওয়ার্ডেন এবং আরও কয়েক জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে। শুরু হয়েছে তদন্ত।

Advertisement

পুলিশ জানায়, ৬ মার্চ হোলির দিন বেলা ১২টার পরে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে রক্তাক্ত অবস্থায় এলএলবির প্রথম বর্ষের ছাত্র বিকাশ সিংহকে পাওয়া যায়। শনিবার রাতে হাসপাতালে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিবৃতি দিয়ে জানান, তাঁরা এর পিছনে সন্দেহজনক কোনও তথ্য পাননি। তবে তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় সাহায্য করবে বলে জানান উপাচার্য পি ঈশ্বরভট্ট।

রবিবার সকালে পরিবারের হাতে বিকাশের দেহ তুলে দেওয়া হয়। হাসপাতালে দাঁড়িয়ে বিকাশের বাবা, বিএসএফের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের এসআই যোগেন্দ্র সিংহ জানান, হস্টেল ভবন থেকে প্রায় সাত ফুট দূরে বিকাশের দেহ পড়েছিল, যা অস্বাভাবিক বলেই তাঁর মনে হয়েছে। তাঁর দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরে কিছু সিনিয়র ছাত্র র্যাগিং করেছিল বলে বিকাশই তাঁকে জানিয়েছিলেন।

Advertisement

যোগেন্দ্রর অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ষড়যন্ত্র, খুন ও তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টার মামলা রুজু করে। বিধাননগরের এডিসিপি দেবাশিস ধর বলেন, “ময়না-তদন্তের আগে মৃত্যুর কারণ নিয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে বেশ কিছু ক্ষেত্রে অসঙ্গতি রয়েছে। তথ্য সংগ্রহ চলছে।”

পুলিশ জানায়, রবিবার রাত পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও কর্মী মিলিয়ে মোট পাঁচ জনকে জিজ্ঞাসাবাদে একাধিক অসঙ্গতি মিলেছে। তদন্তকারীরা জানান, বিকাশের মোবাইল উদ্ধার হলেও কল ও মেসেজের তালিকা মোছা। বিকাশ নিজেই তা করেছিলেন, না তাঁর মৃত্যুর পরে কেউ করেছে, জানতে পারেনি পুলিশ। ছাত্র ও কর্মীরা জানিয়েছেন, বিকাশ হস্টেলের তিনতলার সিঁড়ির ল্যান্ডিং থেকে আচমকা পড়ে যান। কিন্তু ওই জায়গার গার্ডওয়ালের যে উচ্চতা তাতে সেখান থেকে পড়ে যাওয়ার কথা নয় বলেই মনে করছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন