তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ফের তপ্ত মহিষবাথান

লোকসভা ভোটের আগে থেকেই উত্তপ্ত ছিল নিউ টাউনের মহিষবাথান এলাকা। ভোটের ফল বেরোনোর পরেও সেখানে ‘আদি’ বনাম ‘নব্য’ তৃণমূলের সংঘর্ষ অব্যাহত। বুধবার বেশি রাতে কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। নিউ টাউন থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৪ ০২:০৭
Share:

লোকসভা ভোটের আগে থেকেই উত্তপ্ত ছিল নিউ টাউনের মহিষবাথান এলাকা। ভোটের ফল বেরোনোর পরেও সেখানে ‘আদি’ বনাম ‘নব্য’ তৃণমূলের সংঘর্ষ অব্যাহত। বুধবার বেশি রাতে কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। নিউ টাউন থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Advertisement

নির্বাচনের আগেই মহিষবাথান এলাকায় ‘নব্য’ ও ‘আদি’ তৃণমূলের মধ্যে বিভাজন ছিল স্পষ্ট। ফল বেরোনোর আগে ‘নব্য’ তৃণমূলের বিরুদ্ধে ‘আদি’ তৃণমূলের প্রকাশ্য মিছিলে সরগরম হয়েছিল অঞ্চল। ‘আদি’ তৃণমূলের তরফে রাজারহাট ২ নম্বর মহিষবাথান পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা, সেই মিছিলে যোগ দেন অনেকেই। দাবি ছিল, তাঁরাই এলাকার আদি তৃণমূল। তাঁরাই এলাকার বিধায়ক সব্যসাচী দত্তের অনুগামী। ওই দলের অভিযোগ, এলাকায় যাঁদের কোনও জনসমর্থন নেই, তেমন কিছু লোক ভোটের আগে তৃণমূলের নাম করে তাণ্ডব চালিয়েছে। আর তাঁদের নেতৃত্ব দিচ্ছে এলাকার কয়েক জন দুষ্কৃতী। আরও অভিযোগ, এই সব ‘নব্য’ তৃণমূল এলাকার সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদারের অনুগামী। এলাকার দাগী দুষ্কৃতী রুইস কাকলীদেবীর প্রচার সভায় এসে তৃণমূলে যোগ দেন বলেও অভিযোগ তোলেন ওই দলের সদস্যেরা। যদিও তখন কাকলীদেবী বলেন, “এই নিয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। তিনি কিছু বলতে পারবেন না।” অন্য দিকে, ‘নব্য’ তৃণমূলের তরফে অভিযোগ ছিল, আরও এক দুষ্কৃতী ভজাই ‘আদি’ তৃণমূলের ছত্রছায়ায় এলাকায় ত্রাস সঞ্চার করছে। তাদের সদস্যদের মারধর করছে।

গত কয়েক দিন ধরেই এলাকা ছিল উত্তপ্ত। অভিযোগ, মহিষবাথান সেতুর কাছে সব্যসাচী দত্তের অনুগামী কয়েক জন তৃণমূল সমর্থককে মারধর করে দুষ্কৃতীরা। এর পরেই অভিযোগ তোলা হয়, দুষ্কৃতীরা কাকলীদেবীর অনুগামী। এর পরেই বুধবার রাতে কয়েক জন যুবক ‘বদলা’ হিসেবে মহিষবাথানের ঢালিপাড়া এলাকায় তিন তৃণমূলকর্মী তাপস প্রামাণিক, দেবব্রত দত্ত ও দেবনাথ প্রামাণিকের বাড়িতে হামলা করে ও ভাঙচুর চালায়। এই তিন জনই এ বারের লোকসভা ভোটে দু’টি বুথের তৃণমূলের এজেন্ট ছিলেন। তাঁরা বিধাননগর কমিশনারেটে অভিযোগও দায়ের করেন। তাপসবাবুদের অভিযোগ, এলাকার তৃণমূল বিধায়ক সব্যসাচী দত্তের অনুগামীরাই এসে তাঁদের বাড়িতে ভাঙচুর চালান।

Advertisement

যদিও বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত বলেন, “যারা ভাঙচুর চালিয়েছে, তারা সমাজবিরোধী। এ ছাড়া আর কিছু বলতে পারব না।” অন্য দিকে, এই ব্যপারে এলাকার সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদারকে একাধিক বার ফোন করেও পাওয়া যায়নি। তাঁর ফোন বন্ধ ছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন