তিন মাসেই চক্রপথ, আশ্বাস নবদিগন্তের

যানজট কমাতে নতুন রাস্তা তৈরি হচ্ছে সল্টলেকের পাঁচ নম্বর সেক্টর বা তথ্যপ্রযুক্তি তালুকে। রিঙ্গ রোড নামের ওই প্রকল্পের কাজ শেষ করে আগামী দু’-তিন মাসেই নতুন রাস্তাটি চালু করা যাবে বলে জানিয়েছেন সেক্টর ৫-এর প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা ‘নবদিগন্ত ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউনশিপ অথরিটি’। ২০১৩ সালের প্রথম দিকে শুরু হয়েছিল আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ ওই রাস্তা নির্মাণের কাজ। এলাকার এক প্রান্তে ভেড়ির ধার বরাবর আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ কাঁচা রাস্তাটিকেই ঢেলে সাজার পরিকল্পনা হয়েছিল।

Advertisement

কাজল গুপ্ত

শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০১৪ ০১:৩১
Share:

যানজট কমাতে নতুন রাস্তা তৈরি হচ্ছে সল্টলেকের পাঁচ নম্বর সেক্টর বা তথ্যপ্রযুক্তি তালুকে। রিঙ্গ রোড নামের ওই প্রকল্পের কাজ শেষ করে আগামী দু’-তিন মাসেই নতুন রাস্তাটি চালু করা যাবে বলে জানিয়েছেন সেক্টর ৫-এর প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা ‘নবদিগন্ত ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউনশিপ অথরিটি’।

Advertisement

২০১৩ সালের প্রথম দিকে শুরু হয়েছিল আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ ওই রাস্তা নির্মাণের কাজ। এলাকার এক প্রান্তে ভেড়ির ধার বরাবর আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ কাঁচা রাস্তাটিকেই ঢেলে সাজার পরিকল্পনা হয়েছিল।

ওই রিঙ্গ রোড তৈরি হলে ই এম বাইপাস থেকে রাজারহাট বক্সব্রিজ যাওয়ার আরও একটি পথ হবে। এর ফলে পাঁচ নম্বর সেক্টরকে কেন্দ্র করে একটি বৃত্তও তৈরি হবে। যে কারণে প্রকল্পটির নামও রাখা হয়েছে ‘রিঙ্গ রোড প্রকল্প’। নবদিগন্ত-কর্তাদের আশা, বাইরে থেকে যত গাড়ি পাঁচ নম্বর সেক্টরে যাতায়াত করবে, সেই সব গাড়ির আর শিল্পতালুকের ভিতরে ঢোকার দরকার হবে না। যার ফলে যানজট অনেকটাই কমে যাবে।

Advertisement

৪৩২ একর আয়তনের নবদিগন্ত এলাকার ভিতরে মূলত একটিই বড় রাস্তা। এ ছাড়া এক দিকে ভরসা বলতে বাইপাস থেকে টানা ভিআইপি রোড পর্যন্ত রাজারহাট এক্সপ্রেসওয়ে। নবদিগন্তের নিজস্ব রাস্তা বলতে মাত্র ১০-১২ কিলোমিটার। অথচ প্রতিদিন ২০-২৫ হাজার গাড়ির চাপ থাকে বলে নবদিগন্ত সূত্রের খবর। উপরন্তু রাস্তার ধারে যত্রতত্র পার্কিং। সব মিলিয়ে যানজটের সমস্যা জটিল আকার নিয়েছে এই শিল্পতালুকে। সে সমস্যার সমাধানেই রিঙ্গ রোডের পরিকল্পনা নিয়েছিলেন নবদিগন্ত কর্তৃপক্ষ।

প্রায় দশ কোটি টাকা ব্যয় ধরে নিয়ে এই প্রকল্পের কাজ প্রথম দিকে এগোচ্ছিল। কিন্তু সে কাজ হঠাৎ মাঝপথে আটকে যায়। সূত্রের খবর, মূলত ‘ইস্ট কলকাতা ওয়েটল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট’-এর অনুমতি সংক্রান্ত কারণে জটিলতা দেখা যায়। যার জেরে প্রায় ছ’মাস ওই প্রকল্পের সব কাজই কার্যত বন্ধ ছিল। এর পরে লোকসভা নির্বাচনের সময়ে ওই প্রকল্পের কাজ আরও পিছিয়ে যায়।

কিন্তু এ বার দ্রুত প্রকল্প শেষ করতে চান নবদিগন্ত-কর্তৃপক্ষ। নির্বাচনের আগে নবদিগন্তের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। দায়িত্বভার নিয়েই তিনি জানিয়েছিলেন, চলতি প্রকল্পগুলি দ্রুত শেষ করা হবে। নির্বাচনের পরে এই কাজ ভাল ভাবে শেষ করার জন্য তিনি প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন আধিকারিকদের। সম্প্রতি রিঙ্গ রোডের বর্তমান অবস্থা খতিয়ে দেখেন নবদিগন্তের উচ্চপদস্থ কর্তারা। তাঁদের বক্তব্য, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে কাজ পুরোপুরি শেষ করা যাবে।

তবে স্রেফ রিঙ্গ রোডের কাজই নয়, তার পাশাপাশি সৌন্দর্যায়নের কাজও একযোগে চলবে বলে নবদিগন্ত সূত্রে জানা গিয়েছে। সে অনুযায়ী নকশা তৈরির কাজও শুরু হয়েছে। কিন্তু এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে কি যানজট সমাধান হবে সমস্যার?

নবদিগন্তের এক কর্তা জানান, ইতিমধ্যে একটি পার্কিং লট চালু হয়েছে। একটি আধুনিক মানের পার্কোম্যাট এবং আরও কয়েকটি ছোট আয়তনের পার্কিং লটের পরিকল্পনা আছে। একই সঙ্গে গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে কোনও প্রতিবন্ধকতা যাতে না হয়, সে কারণে পাঁচ নম্বর সেক্টরের কয়েকটি নির্দিষ্ট জায়গায় ফুড কোর্টের পরিকল্পনাও কার্যকরী করা হবে।

রিঙ্গ রোড প্রকল্প নিয়ে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “কিছু দিনের মধ্যেই রিঙ্গ রোড প্রকল্পের কাজ শেষ করা হবে। কয়েকটি কারণে এই প্রকল্প শেষ করতে সময় লেগে গেল। তবে রাস্তায় যান চলাচলের ক্ষেত্রে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সে কারণে আরও কয়েকটি পরিকল্পনাও এ বছর কার্যকর করার চেষ্টা চলছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement