তবে তাই হোক

সাগরপারের ভোজে হাজির চিংড়ি-কাঁকড়া-স্কুইডের স্যুপ-স্টার্টার থেকে মাছ-ভাতের তাই খানা-খাজানা। লিখছেন পরমা দাশগুপ্ত। শুধুমাত্র আনন্দবাজার ওয়েবসাইটের জন্য।সাগরপারের ভোজে হাজির চিংড়ি-কাঁকড়া-স্কুইডের স্যুপ-স্টার্টার থেকে মাছ-ভাতের তাই খানা-খাজানা। লিখছেন পরমা দাশগুপ্ত। শুধুমাত্র আনন্দবাজার ওয়েবসাইটের জন্য।

Advertisement
শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০১৫ ১৭:৫৬
Share:

সেকালের সমুদ্র মন্থনে অমৃত উঠেছিল। আর এ কালের সমুদ্র মন্থনে ওঠে সি ফুড! অন্তত তেমনটাই তো বলেন প্রন-লবস্টার-স্কুইড-প্রেমী ভোজনবিলাসীর দল।

Advertisement

বাঙালির ভুরিভোজে কবেই জায়গা করে নিয়েছিল দেশ-বিদেশের সুস্বাদ। সি ফুডই বা ব্যতিক্রম হবে কেন? লুচি-আলুর দম, পোলাও-মাংসে মজে থাকা বাঙালিই তাই দিব্যি চেটেপুটে খায় চিংড়ি, কাঁকড়া, পমফ্রেটের খানা-খাজানা। কলকাতার ফুড-ক্যালেন্ডারেও যখন তখন জায়গা করে নেয় সি ফুড পার্বণ। আপাতত যার ঠিকানা সাউথ সিটির বেঞ্জারং রেস্তোরাঁ।

তাই রেস্তোরাঁ। সি ফুড উত্‌সবও যে সেই ঘরানাতে হবে, বলাই বাহুল্য। উত্‌সবের রূপকার শেফ কার্তিক জানালেন, তাই হেঁশেলের খাঁটি সুস্বাদই থাকছে প্রতিটি পদে— খাস সেখানকার সাগরপারের অলিগলির চেনা ঝাল-মশলা, রং, গন্ধে ভরপুর। তবে বাঙালি রসনার কথা মাথায় রেখে কিছুটা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে ঝাল-মশলার মাত্রা।

Advertisement

শীতের রোদ মেখে দুপুরেই পৌঁছন কিংবা কুয়াশামাখা হিমেল রাতে, আপনাকে স্বাগত জানাতে হাজির থাকছে চিংড়ি, কাঁকড়া, সামুদ্রিক মাছ, স্কুইডের ফ্রায়েড, স্টিমড অ্যাপেটাইজার। সঙ্গে নানা ধরনের ডিপ বা সস। ফ্রায়েড মকরুট লিভস, বার্ডস আই চিলি বা পেপারকর্নে ভাজা মুচমুচে স্নাপার ফিলে কিংবা গার্লিক পেপার সসে মাখামাখি চিংড়ি, কাঁকড়া বা স্কুইডের ‘পাহ্‌দ গ্রাতিম প্রিক তাই’, পাতায় মুড়ে ভাজা সি ফিশের ‘প্লা হোর বাইতে’ পেরিয়ে চেখে দেখতে পারেন ডাবের খোলে ভরা ক্রিমে মাখামাখি নারকেল দুধের টম ক্যাটি স্যুপ। এর পরে ডুব দেওয়া যায় গ্রিল্‌ড পদে। তাই রেড কারি পেস্টে গ্রিল করা গোটা স্ন্যাপারের প্লা কাপোং ড্যাং ইয়াং কিংবা রোস্টেড চিলিতে গ্রিল করা আস্ত একখানা স্কুইডের প্লামিউক ইয়াং মন কাড়তেই পারে। চেখে নেওয়া যায় মাছের ডাম্পলিং কিংবা লবস্টারের গ্রিল্‌ড সম্ভারও।

আপনি যদি হন স্যালাডপ্রেমী, এ পার্বণ আপনাকে নিরাশ করবে না একটুও। তাই হেঁশেলের দু’ধরনের স্যালাড— টক-ঝাল-মিষ্টি ইয়াম বা টক-ঝাল মশলাদার লার্ব, দু’রকমই থাকছে সুখাদ্যের তালিকায়। আর স্যালাডে? মাছ, প্রন বা স্কুইড, যেটা খুশি বেছে নিন।

তাইল্যান্ডের রোজকার জীবনযাপনে মেনকোর্সে বেশির ভাগ পদই ভাতের সঙ্গে খাওয়ার। বাঙালি রসনা যে তাতে মজবে, এতে আর সন্দেহ কী! এ উত্‌সবেও তাই জেসমিন রাইস, রাইস ভার্মিসেলি কিংবা তাই ফ্ল্যাট নুড্লস বা গ্লাস নুড্লসের সঙ্গে একে একে টেবলে হাজির হবে অ্যাসোর্টেড সি ফিশ, চিলি ও বেসিল সসে মাখা পমফ্রেট, ডাবের জলে রাঁধা মশলাদার প্রন কিংবা টম ইয়াম সসে স্টিমড হ্যামর ফিশ, ঘন রেড কারি সসে মাখো মাখো জাম্বো প্রন বা ক্র্যাব মিটের পদ।

আর তার পর?

শেষ পাতে পৌঁছে না হয় আপনিও একটু ভেবেই দেখলেন সমুদ্র মন্থনের ব্যাপারটা। কী বলেন?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন