প্রার্থী বাছতে হিমশিম বিজেপি

উৎসাহী অনেক। কিন্তু উপযুক্ত প্রার্থী বাছতে হিমশিম দশা। তাই পুরভোটের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে বিলম্ব হচ্ছে রাজ্য বিজেপির। দল আগে জানিয়েছিল, কলকাতা পুরসভার কিছু ওয়ার্ডের প্রার্থীর নাম মঙ্গলবার ঘোষণা করা হবে। অন্য জেলাগুলির প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে রবিবার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৫ ০৩:১০
Share:

উৎসাহী অনেক। কিন্তু উপযুক্ত প্রার্থী বাছতে হিমশিম দশা। তাই পুরভোটের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে বিলম্ব হচ্ছে রাজ্য বিজেপির।

Advertisement

দল আগে জানিয়েছিল, কলকাতা পুরসভার কিছু ওয়ার্ডের প্রার্থীর নাম মঙ্গলবার ঘোষণা করা হবে। অন্য জেলাগুলির প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে রবিবার। কিন্তু নির্ধারিত দিনে বিজেপি কলকাতার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি। কারণ, ১৪৪টি ওয়ার্ডে প্রার্থী হওয়ার জন্য ১৭৫৩ জনের লাইন পড়েছে বিজেপি দফতরে। ফলে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ কঠিন এবং সময়সাপেক্ষ বলে মনে করছেন দলীয় নেতৃত্ব।

বিজেপি নেতৃত্ব জানাচ্ছেন, কলকাতা পুরসভার কোনও ওয়ার্ডে প্রার্থী হওয়ার জন্য ১০টি, কোথাও ২২টি, কোথাও ৪৩টি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ এ দিন বলেন, “যথাসময়ে যোগ্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করব।”

Advertisement

বস্তুত, প্রার্থী তালিকা প্রকাশে বিলম্বকে সুদিনের বিড়ম্বনা হিসাবে দেখাতে চাইছেন বিজেপি নেতৃত্ব। যে কারণে রাহুলবাবু জানান, প্রার্থী হওয়ার জন্য যাঁরা আবেদন করেছেন, তাঁদের ৪০ শতাংশ কোনও দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তাঁরা দু’-চার মাস হল বিজেপি-তে এসেছেন এবং এখনও দলীয় কাজে খুব বেশি যুক্ত হননি। তবুও তাঁরা যে ভোটে প্রার্থী হওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে স্বেচ্ছায় ঢুকে পড়তে চেয়েছেন, তা বিজেপি-র পক্ষে ইতিবাচক।

রাহুলবাবুর দাবি, এ দিন কলকাতা পুরসভার ২২টি ওয়ার্ডের প্রার্থীর নাম তিনি ঘোষণা করতে পারতেন। কিন্তু তৃণমূল একটি বাদে বাকি সব ওয়ার্ডের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিয়েছে। তার পর আংশিক তালিকা প্রকাশ অর্থহীন। রাহুলবাবুর আরও দাবি, তৃণমূলের পক্ষে প্রার্থী তালিকা দ্রুত প্রকাশ করা সহজ। কারণ, তারা পরিবারতন্ত্রকে প্রাধান্য দেয়। কিন্তু বিজেপি যোগ্যতাকে গুরুত্ব দেয়। তিনি জানান, ১৩ মার্চ দলের নির্বাচনী কমিটির বৈঠক হবে। সেখানেই অধিকাংশ প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত হবে।

বিজেপি সূত্রের খবর, প্রার্থী তালিকা প্রকাশে দেরি হওয়ার পিছনে আরও তিনটি কারণ রয়েছে। এক, প্রার্থী হতে ইচ্ছুকরা অনেকেই দলেরই বিভিন্ন গোষ্ঠীর প্রভাবশালী নেতাদের পছন্দের। ফলে ভারসাম্য বজায় রেখে প্রার্থী বাছতে হচ্ছে। দুই, সঙ্ঘ পরিবার মনে করে, দলের সুদিনে অনেকে জড়ো হয়েছেন। তাঁদের প্রার্থী হতে চাওয়ার মধ্যে ব্যক্তিগত উচ্চাশা থাকতে পারে। ফলে বাছাই করতে হবে সতর্ক ভাবে, যাতে বেনো জল ঢুকে না পড়ে। তিন, বিজেপির আশা, তৃণমূলের তালিকায় পরিবারতন্ত্রের প্রভাবের জেরে বিক্ষুব্ধ অনেকে তাঁদের দলে যোগ দিতে পারেন। তাঁদের জন্য অপেক্ষা করা উচিত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন