আগে থেকে জানিয়ে রাখতে হবে পুলিশকে, তা হলে বাড়ি ফাঁকা থাকলে পুলিশ নজরদারি রাখবে তার উপরে।
কয়েক বছর ধরেই বিধাননগর পুলিশ বারবার এই আবেদন করে চলেছে। কিন্তু বাসিন্দাদের তরফে তেমন সহযোগিতা না মেলায় সেই বিষয় নিয়ে পুলিশের তরফেও সে রকম তৎপরতা নজরে পড়ে না বলেই অভিযোগ। তার ফলও মিলল হাতেনাতেই।
শনিবার রাতে লেকটাউনে একটি ফ্ল্যাট থেকে চুরি গেল লক্ষাধিক টাকার গয়না। ওই রাতেই লেকটাউন থানায় চুরির অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনায় রবিবার রাত পর্যন্ত কেউ ধরা পড়েনি।
পুলিশ জানায়, ফ্ল্যাটটি স্কুলশিক্ষক প্রসেনজিৎ ভট্টাচার্যের। তিনি ওই ফ্ল্যাটে সব সময়ে থাকেন না। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, শনিবার রাতে ফ্ল্যাটে গিয়ে প্রসেনজিৎবাবু দেখেন, তালা ভাঙা। ঘর লণ্ডভণ্ড। পুলিশ জানায়, ফ্ল্যাটের একটি ঘরের আলমারি খোলা ছিল। প্রসেনজিৎবাবুর দাবি, আলমারিতে লক্ষাধিক টাকার গয়না ছিল। তিনি আরও জানান, এ মাসের ৬ তারিখের পর শনিবার ফ্ল্যাটে যান।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের দাবি, ওই ফ্ল্যাটে যে প্রতিদিন কেউ থাকছে না, সেই তথ্য দুষ্কৃতীরা সংগ্রহ করেছিল। ওই বহুতলের কোনও নিরাপত্তারক্ষীও নেই। ফলে অনায়াসেই তালা ভেঙে চুরি করতে পেরেছে দুষ্কৃতীরা।
প্রশ্ন উঠেছে, শুধু লেকটাউনই নয়, সল্টলেক-সহ বিধাননগর কমিশনারেট এলাকার একাধিক ফাঁকা বাড়িতে চুরির ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, পুলিশকে বাড়ি ফাঁকা রাখার তথ্য দেওয়া হয়নি। এমনকী, সে কথা ভেবেও দেখেননি তাঁরা। বাসিন্দাদের একাংশের অবশ্য পাল্টা বক্তব্য, পুলিশের এই আবেদনের কথা সকলে জানেন না। বিষয়টি নিয়ে আরও প্রচারের প্রয়োজন। সল্টলেক হোক বা লেকটাউন, বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, ব্লক কিংবা পাড়ার সমিতিগুলিকে সঙ্গে নিয়ে প্রচারের কাজ করলে দ্রুত সুফল মিলবে।
বিধাননগর পুলিশের এক কর্তা অবশ্য বলেন, ‘‘এই আবেদন নতুন কিছু নয়। তবে প্রচারের ক্ষেত্রে আরও গুরুত্ব দেওয়া হবে।’’