ফুডকোর্ট এখনও পরিকল্পনার স্তরেই

হরেক খাবার। অগুনতি ক্রেতা। কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীরা উদরপূর্তি করছেন রাস্তার ধারের ধুলোবালির মধ্যে কিছু দোকানে। ক’বছর আগে এটাই ছিল ছবি। পেরিয়েছে আট বছর। দোকান বেড়েছে, বেড়েছে ক্রেতাও। তবু ছবিটা বদলায়নি। ধুলোর বহর কমেছে হয়তো। কিন্তু খাবারের গুণমান পরীক্ষার কোনও পরিকাঠামো এখনও তৈরি হয়নি। নেই কোনও ফুড ইনস্পেক্টরও।

Advertisement

কাজল গুপ্ত

শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৪ ০০:২৬
Share:

হরেক খাবার। অগুনতি ক্রেতা। কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীরা উদরপূর্তি করছেন রাস্তার ধারের ধুলোবালির মধ্যে কিছু দোকানে। ক’বছর আগে এটাই ছিল ছবি।

Advertisement

পেরিয়েছে আট বছর। দোকান বেড়েছে, বেড়েছে ক্রেতাও। তবু ছবিটা বদলায়নি। ধুলোর বহর কমেছে হয়তো। কিন্তু খাবারের গুণমান পরীক্ষার কোনও পরিকাঠামো এখনও তৈরি হয়নি। নেই কোনও ফুড ইনস্পেক্টরও।

ঘটনাস্থল রাজ্যের ‘গর্বের মুখ’ সল্টলেকের ৫ নম্বর সেক্টর। গত আট বছরে ৪৩২ একর আয়তনের এই তথ্যপ্রযুক্তি তালুকে অসংখ্য দোকান তৈরি হয়েছে। জন্মলগ্ন থেকেই তথ্যপ্রযুক্তি তালুকের প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা নবদিগন্ত শিল্পনগরী কর্তৃপক্ষ ফুডকোর্ট তৈরির কথা ঘোষণা করেন। যা আজও হয়নি। তবে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শুরুতে সংস্থার চেয়ারম্যান তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, ৫ নম্বর সেক্টরের যে কোনও এক জায়গায় একটি বড় ফুডকোর্ট হবে। পাশাপাশি, শিল্পতালুকের বিভিন্ন প্রান্তে কিয়স্ক তৈরি করে খাবার বিক্রি হবে।

Advertisement

এই ব্যবস্থায় রাস্তা থেকে সরিয়ে দোকানদারদের পুনর্বাসন সম্ভব হবে বলেই মনে করছেন নবদিগন্তের কর্তারা। শিল্পতালুকে সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলির ক্যান্টিন থাকলেও রাস্তার ধারের অস্থায়ী দোকানগুলিতেই ভিড় বেশি। কারণ, সুলভ মূল্যে রকমারি খাবার মেলে সেখানে। তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী সুস্মিতা মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “অফিসের ক্যান্টিনেও যাই, তবে রাস্তার ধারে বিভিন্ন খাবার পাওয়া যায়।”

কিন্তু রাস্তার ধারের ওই দোকানগুলি কি স্বাস্থ্যসম্মত? শিল্পতালুকে গেলে দেখা যায়, এখনও অনেক জায়গায় নির্মাণ চলছে। যথেচ্ছ ধুলো উড়ছে। তার মধ্যেই দাঁড়িয়ে খাবার খান তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীরা। খাবারের গুণমান নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। রাস্তার ধারের অস্থায়ী দোকানের পাশাপাশি শিল্পতালুকে একাধিক রেস্তোরাঁ আছে। সেখানকার খাবারের গুণমান নিয়েও কোনও তথ্য নেই প্রশাসনের কাছে।

শিল্পতালুকের এই খাবার সরবরাহ প্রক্রিয়া নিয়ে কার্যত অন্ধকারে নবদিগন্ত। দোকান কোথায় ও কী ভাবে হবে, তার পরিকাঠামো নিয়ে পরিকল্পনা হয়েছে। কিন্তু খাবারের গুণমান পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। সংস্থার কার্যনির্বাহী আধিকারিক বদ্রিনারায়ণ কর জানান, ফুডকোর্টের পাশাপাশি একাধিক জায়গা চিহ্নিত করে কিয়স্ক তৈরি হবে। আশা করা যায়, তুলনায় স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ সেখানে থাকবে। তবে নির্বাচনী বিধি জারি হওয়ায় খাবারের গুণমান পরীক্ষা করার ব্যবস্থা সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ মুখ খোলেননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন