মোবাইলের সূত্রে ধৃত দুই অভিযুক্ত

এক মহিলাকে মারধর, শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মূল অভিযুক্ত-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার রাতে উত্তরপাড়ার মাকলা থেকে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলার খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে সুরাফউদ্দিন শাহ ও শম্ভু মাহাতোকে ধরা হয়। সুরাফউদ্দিনের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপিতে। শম্ভুর বাড়ি হুগলির উত্তরপাড়ার মাকলাতে। শম্ভুর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় খোয়া যাওয়া মোবাইলটি। পুলিশ জেনেছে, দিন কয়েক আগে ওই মোবাইলটি শম্ভুকে বিক্রি করেছিল সুরাফউদ্দিন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০১৪ ০২:৩৪
Share:

এক মহিলাকে মারধর, শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মূল অভিযুক্ত-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার রাতে উত্তরপাড়ার মাকলা থেকে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলার খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে সুরাফউদ্দিন শাহ ও শম্ভু মাহাতোকে ধরা হয়। সুরাফউদ্দিনের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপিতে। শম্ভুর বাড়ি হুগলির উত্তরপাড়ার মাকলাতে। শম্ভুর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় খোয়া যাওয়া মোবাইলটি। পুলিশ জেনেছে, দিন কয়েক আগে ওই মোবাইলটি শম্ভুকে বিক্রি করেছিল সুরাফউদ্দিন।

Advertisement

পুলিশ জানায়, ১৮ মে খিদিরপুরের মনসাতলা লেনে এক মধ্যবয়সী মহিলাকে মারধর, শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হয় ওয়াটগঞ্জ থানায়। পুলিশ জানায়, ওই দিন সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির বাসিন্দা বছর চল্লিশের ওই মহিলা কলকাতায় এসেছিলেন কাজের জন্য। একবালপুরে তিনি কিছু শ্রমিকের সঙ্গে কাজের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। তখন সুরাফউদ্দিন রং করার কাজের প্রস্তাব দিয়ে ওই মহিলাকে মনসাতলা লেনের নির্মীয়মাণ একটি বাড়ির ভিতরে নিয়ে যায়।

পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় অপরাধ স্বীকার করেছে সুরাফউদ্দিন। সে জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে ওই মহিলাকে কয়েকশো টাকার বিনিময়ে কুপ্রস্তাব দেয়। মহিলা রাজি না হলে সুরাফউদ্দিন প্রথমে তাঁকে মারধর করে এবং মহিলার শাড়ি দিয়েই তাঁর গলায় ফাঁস লাগিয়ে দেয়। এর পর মহিলা অচৈতন্য হয়ে পড়লে তাঁর ব্যাগ এবং মোবাইল ছিনতাই করে ঘটনাস্থল থেকে পালায় সে। পরে পুলিশ নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার পর মাকলাতে পালায় সুরাফউদ্দিন। সেখানে ইটভাটার শ্রমিকের কাজ নেয়। চুরি করা মোবাইলটি সে সহকর্মী শম্ভুকে ১০০ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেয়।

Advertisement

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ঘটনার পর মহিলার মোবাইলটি বন্ধ ছিল। সম্প্রতি পুলিশ জানতে পারে, মোবাইলটি ব্যবহার করছে শম্ভু। রবিবার রাতে ওয়াটগঞ্জ থানার পুলিশ প্রথমে শম্ভুকে গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে সন্ধান পেয়ে রাতেই গ্রেফতার করা হয় সুরাফউদ্দিনকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন