জাদুঘর কর্তৃপক্ষের দাবি উড়িয়ে দিয়ে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের (এএসআই) বিশেষজ্ঞেরা জানিয়ে দিলেন, সংগ্রহালয়ের যক্ষ মূর্তিটির পায়ের পাতা প্রাকৃতিক কারণে খসে পড়েনি। তাঁদের ধারণা, কোনও গাফিলতির কারণেই খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকের ওই মূর্তিটির অঙ্গহানি ঘটেছে।
ভারহুত থেকে পাওয়া ওই যক্ষ মূর্তিটির পায়ের পাতা ভাঙার কথা প্রকাশ্যে আসে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি। তখন জাদুঘরের মুখপাত্র অশোক ত্রিপাঠী দাবি করেছিলেন, প্রাকৃতিক কারণেই প্রায় বাইশশো বছরের পুরনো বেলে পাথরের মূর্তিটির অঙ্গহানি ঘটেছে। মঙ্গলবার দুপুরে সর্বেক্ষণের কলকাতা মণ্ডলের অধিকর্তা পি কে মিশ্রর নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞদের একটি দল হঠাৎই জাদুঘরে পরিদর্শনে আসেন। পরিদর্শনের পরে তাঁদের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে সর্বেক্ষণ সূত্রের খবর, ঘটনাটি তাঁরা ‘হিউম্যান ভ্যান্ডালিজম’ বলেই মনে করছেন। জাদুঘর রক্ষণাবেক্ষণ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। অশোকবাবু অবশ্য জানান, সর্বেক্ষণের লোকজন এলেও তাঁরা জানিয়ে আসেননি এবং জাদুঘরে কারও সঙ্গে কথা বলেননি।
কিন্তু সূত্রের খবর, সর্বেক্ষণের ওই প্রতিনিধিদল জাদুঘরের নৃতত্ত্ব বিভাগের প্রধান এবং সংগ্রহশালার দায়িত্বে থাকা মিতা চক্রবর্তী ও পুরাতত্ত্ব বিভাগের প্রধান নীতা সেনগুপ্তের উপস্থিতিতেই পরিদর্শন করেন। সূত্রের খবর, কুড়ি মিনিটের উপরে যক্ষ মূর্তির ভাঙা অংশ পরীক্ষা করেন তাঁরা। পরে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। এএসআই সূত্রে খবর, পরিদর্শনের রিপোর্ট যাবে দিল্লিতে সর্বেক্ষণের মহা অধিকর্তার কাছে।
জাদুঘর সূত্রে খবর, মূর্তি ভাঙার সিসিটিভি ফুটেজ নেই কেন, প্রশ্ন পরিদর্শকদের। দর্শকেরা পুরাকীর্তিতে হাত দিলে কেনই বা বাধা দেওয়া হয় না? জাদুঘরের অধিকর্তা বি বেনুগোপাল পরিদর্শন বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি। তবে অছি পরিষদের সদস্য শিক্ষক শচীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের কথায়, “সকলের সামনে এএসআই প্রতিনিধিরা পরিদর্শন করলেন, তবু তাঁরা জানেন না বলে দাবি করছেন। এ তো এক রকম অসহযোগিতা।”