শুরু হল সুকান্ত সেতুর সংস্কার

ঢাকুরিয়া ব্রিজের পরে এ বার সুকান্ত সেতুর মেরামতির কাজ শুরু হল। সেতুর মাঝে রাস্তার উপরে এক্সপ্যানসন জয়েন্টের কাছেই সামান্য অংশ ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল। তাই সংস্কারের প্রয়োজন ছিল। অবশেষে, সরকারি উদ্যোগে সম্প্রতি কাজ শুরু হল। পূর্ত দফতরের দাবি, আগামী দু’মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।

Advertisement

কৌশিক ঘোষ

শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০১৪ ০৩:৩০
Share:

এগোচ্ছে কাজ। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল।

ঢাকুরিয়া ব্রিজের পরে এ বার সুকান্ত সেতুর মেরামতির কাজ শুরু হল।

Advertisement

সেতুর মাঝে রাস্তার উপরে এক্সপ্যানসন জয়েন্টের কাছেই সামান্য অংশ ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল। তাই সংস্কারের প্রয়োজন ছিল। অবশেষে, সরকারি উদ্যোগে সম্প্রতি কাজ শুরু হল। পূর্ত দফতরের দাবি, আগামী দু’মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।

পূর্ত দফতরের দক্ষিণ ২৪ পরগনার হাইওয়ে ডিভিশনের বাস্তুকার চন্দন সামন্ত বলেন, “এই সেতুর মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। এ ছাড়াও সেতুর সৌন্দর্যায়নও হবে। আগামী দু’মাসের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে আশা করা যায়।”

Advertisement

এই সেতুর অন্যতম সমস্যা ছিল এক্সপ্যানশান জয়েন্টের। ফলে, রাস্তায় গাড়ির যাতায়াতের অসুবিধা হয়। এই নিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যেও ক্ষোভ ছিল। সন্তোষপুরের এক বাসিন্দা হারাধন রায় বলেন, “যাদবপুরের সঙ্গে সন্তোষপুরের সংযোগকারী এই সেতুটি গুরুত্বপূর্ণ। এই সেতুর মাঝে ক্রমশ ফাঁক দেখা যাচ্ছিল। কিছু কিছু জায়গায় এবড়ো-খেবড়ো হওয়ায় গাড়ি নিয়ে যাতায়াতে বেশ অসুবিধা হত। সম্প্রতি এই সেতুতে কাজ শুরু হয়েছে। আশা করা যায় এই সমস্যা মিটবে।”

সেতুর এক্সপ্যানশন জয়েন্টের মেরামতি, রাস্তা এবং রেলিংয়ের সংস্কার ছাড়াও সেতুর সৌন্দর্যায়নের প্রকল্পও গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রকল্পে মোট দু’কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলেও পূর্ত দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে। ১৯৯২-এ সন্তোষপুর থেকে যাদবপুর যাওয়ার জন্য যাদবপুর রেলওয়ে স্টেশনের উপর দিয়ে এই সেতু তৈরি করা হয়। প্রথম থেকেই এই সেতুটির তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিল রাজ্যের পূর্ত দফতর। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু এই সেতুর উদ্বোধন করেছিলেন। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের নামে সেতুটির নামকরণ করা হয়।

উল্টোডাঙায় উড়ালপুল ভেঙে পড়ার পরে কলকাতা পুরসভা শহরের বিভিন্ন সেতুর সমীক্ষা করে। এই সেতুগুলির অবস্থা দেখার পরে তা সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানানো হয়। যেগুলির অবস্থা খারাপ এবং মেরামতির প্রয়োজন সেগুলি সারানোর ব্যাপারেও আর্জি জানানো হয়েছে বলে পুরসভার এক আধিকারিক জানান। এই সেতুগুলির মধ্যে দক্ষিণ কলকাতার সুকান্ত সেতুর নামও উল্লেখ করা ছিল।

পূর্ত দফতরের এক আধিকারিক জানান, এই সেতুটি ম্যাস্টিক করা হয়েছিল। তবে সেতুর উপরে কোথাও কোথাও তা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সেই কারণেই নতুন করে এই রাস্তা তৈরির কাজও চলছে। এই রাস্তার মোট দৈর্ঘ্য প্রায় এক কিলোমিটার। এই প্রকল্পের জন্য সমীক্ষা করে বাজেট বরাদ্দ করতে সময় লেগেছে বলে কর্তৃপক্ষ জানান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement