স্কুলব্যাগে ১০ পিস্তল, মাঝরাতে গ্রেফতার ২

পিঠে স্কুলব্যাগ। কিন্তু চেহারা বলছে, ওরা স্কুলপড়ুয়া হতেই পারে না। আর সময়টাও স্কুলে যাওয়ার বা স্কুল থেকে ফেরার মতো নয়। প্রায় মাঝরাত।স্কুলব্যাগ পিঠে ঝুলিয়ে দু’জন চলেছে মোটরবাইকে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছিল, দু’জনেরই বয়স চল্লিশ ছুঁইছুঁই। কিছুটা সন্দেহের বশেই অ্যান্টি-টেরোরিস্ট স্কোয়াড বা জঙ্গি দমন স্কোয়াডের পুলিশকর্মীরা ধাওয়া করেন মোটরবাইকটির পিছনে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৪ ০২:৫২
Share:

পিঠে স্কুলব্যাগ। কিন্তু চেহারা বলছে, ওরা স্কুলপড়ুয়া হতেই পারে না। আর সময়টাও স্কুলে যাওয়ার বা স্কুল থেকে ফেরার মতো নয়। প্রায় মাঝরাত।

Advertisement

স্কুলব্যাগ পিঠে ঝুলিয়ে দু’জন চলেছে মোটরবাইকে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছিল, দু’জনেরই বয়স চল্লিশ ছুঁইছুঁই। কিছুটা সন্দেহের বশেই অ্যান্টি-টেরোরিস্ট স্কোয়াড বা জঙ্গি দমন স্কোয়াডের পুলিশকর্মীরা ধাওয়া করেন মোটরবাইকটির পিছনে। দুই আরোহীকে ধরার পরে তাঁদের চক্ষু চড়কগাছ! স্কুলব্যাগের মধ্যে বই-খাতা-জ্যামিতি বক্সের বদলে মিলল ১০টি সেভেন এমএম পিস্তল, ২০টি ম্যাগাজিন এবং ২০ রাউন্ড কার্তুজ।

শনিবার রাতে বিমানবন্দর থানার এয়ারপোর্ট অ্যাপ্রোচওয়ে এলাকা থেকে অস্ত্র পাচার চক্রের দুই পাণ্ডাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম বিবেকানন্দ মজুমদার ওরফে পাগলা ও অলোক সরকার। তারা বনগাঁ থানা এলাকার বাসিন্দা। রবিবার বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ১৪ দিন পুলিশি হাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

Advertisement

বিমানবন্দর থানা সূত্রের খবর, ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, তারা বিহারের মুঙ্গের থেকে অস্ত্র নিয়ে এসে বনগাঁ সীমান্ত এলাকার দুষ্কৃতীদের কাছে বিক্রি করত। এক-একটি পিস্তল ২৫ হাজার টাকায় কিনে বেচত ৪০ হাজারে। শুধু বিক্রি নয়। উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকার দুষ্কৃতীদের অস্ত্র ভাড়াও দিত অলোক-বিবেকানন্দেরা। মাসিক হাজার টাকায় ওই অস্ত্র ভাড়া দেওয়া হতো। প্রায় দু’বছর ধরে অস্ত্র পাচার করছে তারা।

ধৃতেরা পুলিশকে জানিয়েছে, মূলত রেলপথে মুঙ্গের থেকে অস্ত্র আনা হয় কলকাতায়। তারা কখনও শিয়ালদহ, কখনও বা হাওড়া স্টেশন এলাকায় মুঙ্গেরের এজেন্টদের কাছ থেকে অস্ত্র নিয়ে মোটরসাইকেলে সীমান্ত এলাকায় চলে যেত। ধৃতেরা ইতিমধ্যে কোন কোন এলাকায় কী ধরনের কত অস্ত্র পাচার করেছে, তা জানার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানান পুলিশকর্তারা। কোনও আন্তর্জাতিক অস্ত্র কারবারি এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

লক-আপে মৃত্যু

নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা

থানার লক-আপেই বন্দির মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। রবিবার, ঠাকুরপুকুর থানায়। মৃতের নাম গুড্ডু সর্দার (২০)। বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে। একটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় ধরা পড়েছিল সে। রবিবার বিকেলে লক-আপে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায় গুড্ডুকে। লালবাজার সূত্রের খবর, বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশের দক্ষিণ-পশ্চিম শাখার ডেপুটি কমিশনার সুব্রত মিত্রকে। থানার কর্মীদের কোনও গাফিলতি পাওয়া গেলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন