পকেটের ভিতরে হেলায় ৮৭ লক্ষ টাকার সোনা নিয়ে শনিবার রাতে কলকাতায় নেমেছিলেন এক বিমানযাত্রী। ভেবেছিলেন, শুল্ক অফিসারদের নজর এড়িয়ে ঠিক বেরিয়ে যাবেন। কিন্তু, শেষরক্ষা হল না। একই সময়ে ব্যাঙ্কক থেকে আসা এক যাত্রীও ধরা পড়লেন সোনা নিয়ে। দু’জনের কাছ থেকে সব মিলিয়ে ১ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের সোনা বাজেয়াপ্ত করেছে কলকাতা বিমানবন্দরের শুল্ক দফতর।
বিমানবন্দর সূত্রে খবর, শনিবার রাতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের উড়ানে সিদ্দিক পোলেটপল্লি (২৭) কলকাতায় নামেন। অন্ধ্র প্রদেশের অনন্তপুরের বাসিন্দা ওই যুবক হনহন করে হেঁটে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন বিমানবন্দর থেকে। এক শুল্ক অফিসারের কথায়, “কনভেয়ার বেল্ট থেকে ব্যাগ তুলে শুল্ক দফতরের গেট পর্যন্ত প্রায় ৫০ মিটার দূরত্ব। ওই অংশ পেরোনোর সময়েই যাত্রীদের মুখের ভঙ্গি লক্ষ করা হয়। যাঁর কাছে সোনা বা অন্য বেআইনি কিছু থাকে, কোনও না কোনও ভাবে তাঁর মুখে টেনশন ফুটে ওঠে। আমাদের অভিজ্ঞ চোখে তা ধরা পড়ে।”
সিদ্দিক-কে তল্লাশি করে অবাক হয়ে যান অফিসারেরা। দেখেন, তাঁর জিন্সের প্যান্টের দুই পকেটে রয়েছে চারটি সোনার বার। সব মিলিয়ে যার ওজন ৩ কিলোগ্রাম। বাজারদর প্রায় ৮৭ লক্ষ টাকা। এক শুল্ক অফিসারের কথায়, “দুই পকেটে প্রায় ৮৭ লক্ষ টাকার সোনা নিয়ে হেলায় বেরিয়ে যাচ্ছিলেন ওই যাত্রী।” সিদ্দিক-কে গ্রেফতার করে রবিবার আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
অন্য দিকে, ওই রাতেই ব্যাঙ্কক থেকে ইন্ডিগোর উড়ানে কলকাতায় নামার পরে আটক করা হয় পুণের প্রশান্ত বর্মাকে। গলায় সোনার হার ছাড়াও তাঁর পায়ুর ভিতর থেকে পাওয়া গিয়েছে ১৪টি সোনার টুকরো। সব মিলিয়ে ৫৭৫ গ্রাম সোনা। গলার হারটি সাদা রং করিয়ে এনেছিলেন প্রশান্ত। ওই সোনার বাজারদর ২০ লক্ষ টাকার কম। তাই, সোনা বাজেয়াপ্ত করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে প্রশান্তকে।