এ ভাবেই চলে রাস্তা পারাপার।
মেট্রোর কাজ চলায় রাস্তার কয়েকটি জায়গা টিন দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। তাই ঘুরপথে যেতে হচ্ছে। কিন্তু ঘুরপথে যেতে সময় বেশি লাগে। ফলে বিপজ্জনক ভাবে টিনের ফাঁক গলে যাতায়াত চলছে ডায়মন্ড হারবার রোডের কয়েকটি জায়গায়।
ডায়মন্ড হারবার রোড দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকার সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগ রক্ষা করা। রাস্তাটির বড় অংশ কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের আওতাধীন।
ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে খবর, এই রাস্তায় সারা দিনই গাড়ির চাপ থাকে। এই রাস্তায়ই চলছে জোকা-বিবাদীবাগ মেট্রোর কাজ। ফলে বিদ্যাসাগর হাসপাতালের সামনের অংশের মতো রাস্তার কয়েকটি জায়গা টিন দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এর জন্য রাস্তা পার হতে অনেকটা ঘুরপথে যেতে হচ্ছে। ফলে সময় বেশি সময় লাগছে। অভিযোগ, অনেকেই তাই টিনের ফাঁক গলে বিপজ্জনক ভাবে যাতায়াত করছেন।
বাসিন্দাদের দাবি, মেট্রোর কাজের জন্য পুরোটা না ঘিরে জায়গায় জায়গায় যাতায়াতের জন্য কিছুটা ফাঁকা রাখা হোক। বেহালা ট্রামডিপো সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা শ্যামল মৈত্র বলেন, “আগে রাস্তা পার করে সহজেই হাসপাতালে যাওয়া যেত। এখন অনেকটা ঘুরতে হচ্ছে। হাতে সময় না থাকলে বিপজ্জনক হলেও টিনের ফাঁক গলে কোনওমতে চলে যাই।” ১৪ নম্বর বাসস্ট্যান্ড, পুরাতন বাজার, নফরচন্দ্র আঢ্য রোড, বীরেন রায় রোড এবং জেমস লঙ সরণি সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের একই অভিযোগ। তাঁরা জানান, দিনের ব্যস্ত সময়ে প্রাণ হাতে করে রাস্তা পারাপার করতে হয়। পড়ুয়াদেরও অনেকটা ঘুরপথে স্কুলে যেতে হয়।
যে ভাবে মেট্রোর কাজ চলেছে তাতে সমস্যা মিটতে আরও সময় লাগবে বলে বাসিন্দাদের আশঙ্কা। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র বলেন, “কাজের সময়ে কিছুটা কষ্ট সহ্য করতে হবে। তবে বেহালা এলাকায় যে সব ইঞ্জিনিয়ার কাজ করছেন আমি তাঁদের সমস্যার কথা জানাব।” রাস্তাটি পূর্ত দফতরের নিয়ন্ত্রণাধীন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পূর্ত দফতরের এক আধিকারিক জানান, মেট্রো প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই রাস্তার হাল ফিরবে না। তবুও কোথাও খানাখন্দ নজরে এলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।