দক্ষিণেশ্বর মন্দির সংলগ্ন রানি রাসমণি রোড থেকে সব দোকানদারদের সরানো হয়েছে বলে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ করল কামারহাটি পুর কর্তৃপক্ষ। হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের আদালতে পেশ করা ওই রিপোর্টে পুরসভার তরফে আরও জানানো হয়, স্কাইওয়াকের জন্য ওই রাস্তাটি কেএমডিএ-র হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
এ দিন কামারহাটি পুরসভার আইনজীবী আদালতে জানান, দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে ঢোকার রাস্তা রানি রাসমণি রোডের ১৩৭ জল দোকানদারের মধ্যে মাত্র ২৪ জন পুরসভার তৈরি করে দেওয়া অস্থায়ী দোকানের চাবি নিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, অন্যান্য অনেক দোকানদারই পুনর্বাসন নিতে ইচ্ছুক। কিন্তু দোকানদার সমিতির পক্ষ থেকে তাঁদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল জয়ন্ত মিত্র আদালতে জানান, পুরসভার পক্ষ থেকে পেশ করা রিপোর্টে এও বলা হয়েছে যে, সব দোকানদাররা তাঁদের পুরনো জায়গা থেকে সব জিনিসপত্র সরিয়েও নিয়েছেন।
বিচারপতি এ দিন কেএমডিএ এবং কামারহাটি পুরসভাকে নির্দেশ দিয়েছেন, স্কাইওয়াক প্রকল্পের কাজের কী অগ্রগতি হল তা নিয়ে আগামী ১৪ জানুয়ারি পৃথক ভাবে রিপোর্ট জমা দিতে। একই সঙ্গে বিচারপতির নির্দেশ, দোকানদারদেরও হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে, অস্থায়ী জায়গায় সরে যাওয়ার ব্যাপারে তাঁরা কতদূর এগোলেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ১৫ জানুয়ারি।
কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, ‘‘পুরসভার বাজার বিভাগ থেকে অস্থায়ী দোকানের চাবি দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে ২৪ জন চাবি নিয়ে গিয়েছেন। অন্যেরাও নেবেন আশা করি। দোকানদারদের তো বোঝা উচিত সরকার ওঁদের ক্ষতি করতে চাইছে না। উন্নয়নের স্বার্থে কিছু মাসের জন্য অন্য জায়গায় সরে যেতে হচ্ছে।’’ তবে দোকানদার সমিতির সম্পাদক অজিত সিংহের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় এ দিন অবশ্য তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
স্কাইওয়াক তৈরির বরাত পাওয়া ঠিকাদার সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তাটির এক দিকের সমস্ত দোকান ভেঙে ফাঁকা জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকেরও অধিকাংশ দোকান ভাঙা হয়ে গিয়েছে। কাজ শুরুর জন্য মেশিনপত্র আনা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ পুরোদমে শুরু করা হবে। এ দিন এলাকায় ছিল কড়া পুলিশি নিরাপত্তা।