ডালু, ইশার পাশে কৃষ্ণেন্দু

আড়ম্বর না থাকলেও প্রয়াত নেতা গনি খান চৌধুরীর ৯৩ তম জন্মদিবসকে কেন্দ্র করে এ দিন যেন উৎসবের আমেজ কোতোয়ালি হাভেলিতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

মালদহ শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৯ ০৬:১৮
Share:

গুঞ্জন: গনির মাজারে ডালু, ইশার সঙ্গে শ্রদ্ধা জানান কৃষ্ণেন্দুও। নিজস্ব চিত্র

গনির জন্মদিনে কংগ্রেসের আরও কাছাকাছি চলে এলেন কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। শুক্রবার সকালে দীর্ঘ কয়েক বছর পরে কোতোয়ালি হাভেলিতে গিয়ে আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু), মোস্তাক আলম, ইশা খান চৌধুরীদের সঙ্গেই গনির মাজারে শ্রদ্ধা জানালেন তিনি। শুধু তাই নয়, ইশা খানের ঘরে ডালুবাবুদের সঙ্গে এক টেবিলেই প্রাতঃরাশ সারেন কৃষ্ণেন্দু। তিনি যখন কংগ্রেসের সঙ্গে গনির জন্মদিন পালন করছেন, ঠিক তখনই পৃথক ভাবে গনির জন্মদিন পালন করলেন তৃণমূলের জেলা নেতারা। দলের নেতাদের সঙ্গে না গিয়ে কংগ্রেস শিবিরে কৃষ্ণেন্দুর শামিল হওয়া নিয়ে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে জেলার রাজনীতিতে। যদিও গুঞ্জনের কিছু নেই বলে একযোগে দাবি করেছেন কৃষ্ণেন্দু এবং ডালু।

Advertisement

আড়ম্বর না থাকলেও প্রয়াত নেতা গনি খান চৌধুরীর ৯৩ তম জন্মদিবসকে কেন্দ্র করে এ দিন যেন উৎসবের আমেজ কোতোয়ালি হাভেলিতে। সকাল হতেই কোতোয়ালি হাভেলিতে ভিড় জমাতে শুরু করে দেন গনি অনুরাগীরা। এ দিন সকাল সাড়ে সাতটাতেই ঘুম থেকে উঠে পাঞ্জাবি, জহর কোট পরে প্রস্তুত হয়ে যান ডালু। তাঁর মতোই সকাল সকাল উঠে পড়েন গনির আরও এক ভাই তথা তৃণমূল নেতা আবু নাসের খান চৌধুরী (লেবু)। এরই মধ্যে সকাল পৌনে আটটা নাগাদ কোতোয়ালি হাভেলিতে নিজের ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ দাসকে নিয়ে হাজির হন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। ডালুবাবুর সঙ্গে গনি খানকে নিয়ে খোলামেলা গল্পেও মেতে উঠেন তিনি। এরপরেই হাজির হতে শুরু করেন কংগ্রেসের নেতা, বিধায়কেরা। তাঁদের সঙ্গে এক টেবিলে বসে প্রাতঃরাশ করেন কৃষ্ণেন্দু। এরপরে সকলে সঙ্গে গনির মাজারে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি।

তাঁর কোতোয়ালি হাভেলিতে আসা দেখে হতবাক গনির অনুগামীদের একাংশ। একই সঙ্গে জোর গুঞ্জন শুরু হয়ে যায় কৃষ্ণেন্দু কি ফের ঘরে ফিরে আসবেন? কংগ্রেস নেতাদের একাংশের দাবি, “২০০৬ সালে গনিখানের মৃত্যু হয়। তার পরে জন্মদিবসই হোক কিংবা মৃত্যুদিন কখনও কোতোয়ালিতে আসেননি কৃষ্ণেন্দু। তিনি নিজের উদ্যোগে ২০০৮ সালে মালদহের বৃন্দাবনী ময়দান সংলগ্ন মুক্তমঞ্চে গনিখানের মূর্তি নির্মাণ করেছিলেন। আর সেখানে গিয়েই শ্রদ্ধা জানাতেন কৃষ্ণেন্দু।”

Advertisement

যদিও কৃষ্ণেন্দু বলেন, “বরকতদা রাজনীতির ঊর্ধ্বে। তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে কোতোয়ালিতে আসা।” কিন্তু এত বছর পরে কেন? তিনি বলেন, “বিবেকের তাড়নায় এবারে এসেছি।” কৃষ্ণেন্দুর সঙ্গে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক বলে দাবি করেন ডালু। তিনি বলেন, “এখানে রাজনীতির কোনও বিষয় নেই।”

রথবাড়িতে গনির মূর্তিতে মালা দেওয়ার পর কেক কাটেন তৃণমূল নেতারা। জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম বলেন, “বরকত মামা সব সময়ই রাজনীতির ঊর্ধ্বে। তাই সকলেই তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে পারেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন