kumarhunj

রাজসাক্ষী করে দ্রুত চার্জশিট তদন্তে

পুলিশের দাবি, ওই তরুণীকে প্রথমে ধর্ষণ করে মূল অভিযুক্ত যুবক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গঙ্গারামপুর শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২০ ০৫:৩১
Share:

প্রতীকী চিত্র।

কুমারগঞ্জের গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত এখনও অপরাধের কথা স্বীকার করেননি বলে খবর। তবে বাকি দুই অভিযুক্ত জেরায় অভিযোগ স্বীকার করেছেন বলে পুলিশ দাবি করেছে। পাশাপাশি ঘটনার পুনর্নির্মাণের সময়েও তাঁরা সবিস্তার পুলিশের কাছে অভিযোগ স্বীকার করেছে বলে খবর। কিন্তু মূল অভিযুক্ত এখনও বয়ান না দেওয়ায় পুলিশ এক অভিযুক্তকে রাজসাক্ষী করার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে খবর। যদিও জেলা পুলিশ এমন দাবি মানতে চায়নি।

Advertisement

জেলার পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত শুধু বলেছেন, ‘‘দ্রুত তদন্ত চলছে। আমরা কয়েক দিনের মধ্যে চার্জশিট দিয়ে দেবো।’’

পুলিশের দাবি, ওই তরুণীকে প্রথমে ধর্ষণ করে মূল অভিযুক্ত যুবক। মেয়েটির অন্যত্র বিয়ের কথা চলছে এই খবর পেয়ে ঘটনার চার দিন আগে গোয়া থেকে বাড়ি ফিরে আসে সে। তার পরেই মেয়েটিকে ধর্ষণ করে খুন করার পরিকল্পনা করে মূল অভিযুক্ত। খুন করার জন্য সঙ্গে ছুরি ও পেট্রলের বোতলও সঙ্গে নিয়ে যায় ওই অভিযুক্ত। তার পরে দুই বন্ধুকে ডেকে নিয়ে ঘটনাস্থলে মেয়েটিকে নিয়ে যাওয়ার পরে প্রথমে মূল অভিযুক্ত ধর্ষণ করে। এর পরে আরও এক জন ধর্ষণ করলে মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে যায়। সেই অজ্ঞান অবস্থাতেই তৃতীয় অভিযুক্ত ধর্ষণ করে। তার পর চাকু দিয়ে মেয়েটির গলা কেটে খুন করে মূল অভিযুক্ত। শেষে তিন জন মিলে পেট্রল ঢেলে দেহ পুড়িয়ে দেয় বলে পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে।

Advertisement

তবে সম্পূর্ণ ঘটনার কথা দুই অভিযুক্ত স্বীকার করলেও এখনও মূল অভিযুক্ত অস্বীকার করে চলেছে বলে সূত্রে খবর। এই অবস্থায় পুলিশ এক অভিযুক্তকে রাজসাক্ষী করতে চাইছে বলে তাদেরই এক সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও পুলিশ প্রকাশ্যে সে কথা মানতে চাইছে না। তদন্তকারী অফিসারদের একটি সূত্রের দাবি, মূল অভিযুক্ত যে অনড়, তার থেকেই বোঝা যাচ্ছে পরিকল্পনা করেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

এমনকি, পুলিশ জানতে পেরেছে, এই ঘটনা ঘটানোর পরে সমস্ত প্রমাণ লোপাট করে গোয়ায় ফিরে গিয়ে সেখান থেকে ভিন্ দেশে পালিয়ে যাবার ছকও কষেছিল সে। তাই এক অভিযুক্তকে রাজসাক্ষী করে মূল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে, নির্যাতিতার শরীরের নানা অংশ পরীক্ষার জন্য ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পাঠিয়েছে পুলিশ। সঙ্গে অভিযুক্তদের ডাক্তারি পরীক্ষা করে ফরেন্সিক রিপোর্টের সঙ্গে মেলানো হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের কাছে যে তথ্য প্রমাণ রয়েছে তাতে খুব শীঘ্রই চার্জশিট দেওয়া যাবে। সম্ভাব্য সব এলাকাতেই তদন্তজাল ছড়ানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন