দক্ষিণ ২৪ পরগনা

সমন্বয়ের অভাব আছে থানাগুলির, মনে করেন মমতা

প্রশাসনিক বৈঠকে এসে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলার বিভিন্ন থানার মধ্যে সমন্বয়ের অভাব আছে বলেও মনে করেন তিনি। বস্তুত, লোকসভা ভোটের পর থেকেই এই জেলায় শাসক দলের বিরুদ্ধে একের পর এক হামলার অভিযোগ তুলেছে বাম-বিজেপি। গত ১৪ জুন রায়দিঘিতে আবার তৃণমূলের তিন কর্মী-সহ খুন হন ৪ জন।

Advertisement

শুভাশিস ঘটক

ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৪ ০৩:৫২
Share:

প্রশাসনিক বৈঠকে এসে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলার বিভিন্ন থানার মধ্যে সমন্বয়ের অভাব আছে বলেও মনে করেন তিনি।

Advertisement

বস্তুত, লোকসভা ভোটের পর থেকেই এই জেলায় শাসক দলের বিরুদ্ধে একের পর এক হামলার অভিযোগ তুলেছে বাম-বিজেপি। গত ১৪ জুন রায়দিঘিতে আবার তৃণমূলের তিন কর্মী-সহ খুন হন ৪ জন। এ দিন রায়দিঘির ঘোষেরচকে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মমতা। কয়েক জনকে চাকরির নিয়োগপত্রও দেন। পরে খাঁ পাড়া হাইস্কুল মাঠে এক সভায় তিনি জানান, তিন মাসের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরে তাঁরা চাকরি পাবেন। দলের তরফে পরিবারগুলিকে ঘর সারানোর জন্য টাকা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। মমতা বলেন, “এই খুনের ঘটনা খুবই নির্মম। এটা কাপুরুষতা। আমি খুনখারাপির রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। যেখানে খুনখারাপি ও সন্ত্রাস হয়, সেখানেই আমি প্রতিবাদ করি। আমি গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনে রাজনীতি করায় বিশ্বাসী।”

পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, “বাইরে থেকে গুন্ডা ভাড়া করে নিয়ে এসে এলাকা ফাঁকা করার চেষ্টা হচ্ছে। ভাড়াটে গুন্ডা দিয়ে এলাকা দখলের চেষ্টা চলছে।” সিপিএমের নাম না করেও পুরনো কিছু প্রসঙ্গ টেনে এনে তিনি বলেন, “আপনারা এ রকম ভাবেই নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুর ফাঁকা করার চেষ্টা করেছিলেন।”

Advertisement

এ দিনই পরে ডায়মন্ড হারবারে প্রশাসনিক বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বলেন, “জেলায় অপরাধ ঘটছে। থানাগুলির মধ্যে সমন্বয়ের অভাব আছে বলে আমি মনে করি। আগের থেকে থানার সংখ্যা বাড়িয়েছি। তা সত্ত্বেও অপরাধ কমেনি।” রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পুলিশমন্ত্রী হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতার উপরেই বর্তায়। তাঁর মতে, “এখানে দুষ্কৃতীরা অপরাধ করে মুম্বইয়ে পালিয়ে যাচ্ছে।”

রায়দিঘির খুনের ঘটনাতেও মূল অভিযুক্ত মুম্বই থেকে ধরা পড়েছে বলে জানান মমতা। সোমবার রাতে ধৃত তিন জন-সহ ইতিমধ্যেই ওই খুনের ঘটনায় ধরা পড়েছে ১৩ জন। এফআইআর দায়ের হয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও। গ্রেফতার হয়েছেন বিমল ভাণ্ডারী নামে এক সিপিএম নেতা। যা নিয়ে সিপিএমের অন্দরে ক্ষোভ চরমে।

সালিশি সভা থেকে ফেরার পথে চার জনকে খুনের ঘটনা আসলে তৃণমূলেরই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল বলে তাদের দাবি। মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা শেখ ওয়াজেদ খামারুকে পুলিশ ধরছে না বলেও অভিযোগ তাদের। গোটা ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিমলবাবুর স্ত্রী যমুনাদেবী। রাজ্য সিপিএম সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতেই আগামী ৬ জুন রায়দিঘিতে সভা করতে আসছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন